যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, তার প্রশাসন বিদেশে তৈরি সেমিকন্ডাক্টর ও ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে। তবে যেসব কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন করছে বা বিনিয়োগ করেছে, তাদের জন্য এই শুল্ক প্রযোজ্য হবে না। হোয়াইট হাউসে অ্যাপল সিইও টিম কুকের সঙ্গে বৈঠকের সময় ট্রাম্প বলেন, “যদি আপনি যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন করেন, তাহলে কোনো চার্জ নেই।” এই পদক্ষেপের ফলে চিপ-নির্ভর পণ্যের দাম বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অ্যাপল ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে $৬০০ বিলিয়ন বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। Nvidia ও Intel-এর শেয়ার মূল্যও ট্রাম্পের ঘোষণার পর বাড়তে দেখা গেছে। প্রযুক্তি খাতের মোট বিনিয়োগ $১.৫ ট্রিলিয়ন ছাড়িয়েছে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে। তাইওয়ানের TSMC, দক্ষিণ কোরিয়ার Samsung ও SK Hynix—যাদের যুক্তরাষ্ট্রে কারখানা রয়েছে—তারা এই শুল্ক থেকে ছাড় পাবে। তবে ফিলিপাইনের মতো দেশ, যারা সেমিকন্ডাক্টর রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল, তাদের জন্য এই শুল্ক “বিপর্যয়কর” হতে পারে।
ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ বাইডেন প্রশাসনের CHIPS and Science Act-এর বিপরীত, যেখানে $৫০ বিলিয়ন বরাদ্দ করা হয়েছিল উৎপাদন ও গবেষণার জন্য। ট্রাম্প শাস্তিমূলক শুল্কের মাধ্যমে দেশীয় উৎপাদনকে উৎসাহিত করতে চাইছেন। বিশ্লেষকদের মতে, এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি খাতকে আরও স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে, যদিও এর ফলে ভোক্তাদের ওপর মূল্যবৃদ্ধির চাপ পড়তে পারে।
