December 6, 2025
AAJ 2

ব্রণ-ফুস্কুড়ি, মেচেতার দাগ মেটাতে অনেকেই ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করেন। কিন্তু সকলের ত্বকের পক্ষে সব জিনিস উপযুক্ত নয়। অনেকেই দোকান থেকে কেনা ফেস-স্ক্রাব ব্যবহার করেন। কিন্তু এতে হিতের বিপরীত হতে পারে। ত্বক আরও বেশি রুক্ষ হয়ে অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে। চলুন আজ জেনে নেওয়া যাক ত্বকের জন্য নিরাপদ কিছু ঘরোয়া ফেস-স্ক্রাব।

মধু-কফির স্ক্রাব

সমপরিমাণ মধু ও কফি নিন অর্থাৎ ২ চামচ মধু নিলে ২ চামচ কফিও নিন। এরপর এতে ১ চা-চামচ নারকেল তেল ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে হালকা মালিশ করুন। প্রায় ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এই স্ক্রাব দ্রুত মৃত ত্বক কোষ দূর করে, আর ত্বককে করে তোলে নরম, মসৃণ ও উজ্জ্বল।

ওট্সের-দুধের স্ক্রাব

মিহি করে ওটস গুঁড়ো করে নিন। এতে সামান্য জল ও আমন্ড অয়েল মেশান। চাইলে এর সঙ্গে দুধ ও মধুও মেশাতে পারেন। এক্সফোলিয়েট করার জন্য চিনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাদামি বা সাদা যে কোনোটাই ব্যবহার করলে ত্বকের মৃত কোষ দ্রুত উঠে যাবে।

লেবু এবং চিনি

লেবুর রসের সঙ্গে দুই টেবিল চামচ চিনি মিশিয়ে নিন। ইচ্ছা হলে সামান্য মধুও মেশাতে পারেন। স্নানের আগে এই মিশ্রণটি ভালোভাবে গায়ে মালিশ করুন। লেবুর সাইট্রিক অ্যাসিড ত্বকের পিগমেন্টেশন কমাতে সাহায্য করে।

অ্যালোভেরা ও শসার স্ক্রাব

প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার ও ত্বকচর্চায় অ্যালোভেরা বেশ জনপ্রিয়। তৈলাক্ত ত্বক, দাগছোপ কিংবা বলিরেখা – সব ধরনের সমস্যায় অ্যালোভেরা ও শসার তৈরি স্ক্রাব বেশ কার্যকর। অ্যালোভেরার শাঁস ও শসা একসঙ্গে ব্লেন্ড করে একটি মসৃণ পেস্ট বানিয়ে নিন। স্নানের আগে এই মিশ্রণটি মুখ ও পুরো শরীরে মালিশ করে লাগিয়ে রাখলে ত্বক সতেজ থাকে। রোদে পোড়া ত্বকের জ্বালাভাব কমাতেও এই স্ক্রাব খুব ভালো কাজ করে।

কাঠবাদাম ও নারকেলের দুধ

এই স্ক্রাবটি ত্বককে এক্সফোলিয়েট করে স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। একটি পাত্রে ২ কাপ মুলতানি মাটি, ১ কাপ গুঁড়ো ওট্স, ৪ চামচ গুঁড়ো কাঠবাদাম এবং গুঁড়ো শুকনো গোলাপের পাপড়ি মিশিয়ে নিন। এরপর পরিমাণ মতো নারকেলের দুধ মিশিয়ে মসৃণ একটি পেস্ট তৈরি করুন। বিশেষ করে কোমল ত্বকের যত্নে এই স্ক্রাবটি দারুণ উপকারী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *