কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং পরিবর্তিত ভোক্তা আচরণ বিশ্বব্যাপী ই-কমার্স খাতে এক নতুন বিপ্লবের সূচনা করেছে। Shopify-এর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে বৈশ্বিক ই-কমার্স বিক্রয় ৮.৪% বৃদ্ধি পেয়ে $৬.০৯ ট্রিলিয়নে পৌঁছেছে, যা প্রযুক্তি ও ভোক্তা চাহিদার দ্রুত পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, AI এখন আর বিলাসিতা নয়, বরং ই-কমার্সে টিকে থাকার জন্য অপরিহার্য। Amazon-এর AI সহকারী ‘Rufus’ ভারতীয় গ্রাহকদের জন্য ব্যক্তিগতকৃত পণ্য সুপারিশ প্রদান করছে, যা গ্রাহক সন্তুষ্টি ও বিক্রয় বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
ভারতে উৎসবকালীন সময়ে অনলাইন কেনাকাটার প্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। Indian Brand Equity Foundation (IBEF) জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে অনলাইন বিক্রির পরিমাণ ২৩% বৃদ্ধি পেয়ে $১২ বিলিয়নে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে, সামাজিক বাণিজ্য (social commerce) দ্রুত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্যের ৭৬% অনলাইন ক্রেতা সরাসরি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে কেনাকাটা করবেন। Instagram, TikTok ও Facebook-এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলো এখন ক্রয় সিদ্ধান্তে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলছে।
তবে, ক্রমবর্ধমান জীবনযাত্রার ব্যয় বিশ্বব্যাপী ভোক্তাদের আরও মূল্যসচেতন করে তুলেছে। অনেকেই ছাড়, ক্যাশব্যাক ও বান্ডেল অফারের দিকে ঝুঁকছেন। এর ফলে ব্র্যান্ড বিশ্বস্ততা কমে যাচ্ছে এবং গ্রাহকরা সহজেই ব্র্যান্ড পরিবর্তন করছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভবিষ্যতের ই-কমার্স হবে আরও ব্যক্তিকেন্দ্রিক, প্রযুক্তিনির্ভর এবং সামাজিকভাবে সংযুক্ত। AI-এর সহায়তায় বিক্রেতারা গ্রাহকদের চাহিদা বুঝে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দিতে পারছেন, যা ব্যবসায়িক সাফল্যের চাবিকাঠি হয়ে উঠছে।
