December 6, 2025
3

মে মাসের এক সকালে রুমা সেন যখন তার মেয়ের হোমওয়ার্ক দেখছিলেন, তখনই ফোনে একটি অ্যালার্ট আসে—আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেও রুমা জানতেন, এই বর্ধিত সময়কে কাজে লাগাতে হবে, কারণ করের জগতে প্রস্তুতিই সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।

রুমার পরিবার কীভাবে এই কর মরসুমের গোলকধাঁধা পার করছে, তা দেখা যাক। রুমা নিজে একজন স্কুলশিক্ষিকা, তাঁর আয় স্থিতিশীল এবং উৎসে কর কর্তন হয়। বছর শেষে তিনি ফর্ম ১৬ হাতে পান। অন্যদিকে, স্বামী সুবীর একজন স্থপতি এবং নিজস্ব ফার্মের মালিক। তার আয় অনিয়মিত, রয়েছে অনেক প্রাপ্তি, অনলাইন পেমেন্ট ও স্প্রেডশিটের হিসাব।

তাদের ভাগ্নি স্নেহা, একজন কলেজছাত্রী, ফ্রিল্যান্সিং করে বছরে ২.৫ লক্ষ টাকার কম আয় করে। সে জানতে চায় তার রিটার্ন ফাইল করা দরকার কিনা। রুমা তাকে জানান, যদিও বাধ্যতামূলক নয়, তবুও ফাইল করা উচিত। এতে আর্থিক রেকর্ড তৈরি হয় এবং ক্ষেত্রবিশেষে টাকা ফেরত পাওয়ার সুযোগ থাকে।

সেই সন্ধ্যায় পরিবার বিতর্ক করে কোন কর ব্যবস্থা তাদের জন্য সেরা। স্নেহা নতুন ব্যবস্থার দিকে ঝুঁকে, যেখানে কর হার কম কিন্তু কোনো ছাড় নেই। সুবীর পুরোনো ব্যবস্থার পক্ষে যুক্তি দেন, কারণ ৮০সি, ৮০ডি এবং গৃহঋণের সুদের মতো ছাড়গুলো তাকে অর্থ সাশ্রয় করতে সাহায্য করবে। রুমা অনলাইনে উভয় ব্যবস্থার তুলনামূলক বিশ্লেষণ করেন, যা থেকে বোঝা যায় কোনো একটি ব্যবস্থা সবার জন্য সেরা নয়; এটি নির্ভর করে ব্যক্তির আয় ও ছাড়ের উপর। গুরুত্বপূর্ণ হলো উভয় বিকল্প যাচাই করে সবচেয়ে লাভজনকটি বেছে নেওয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *