চেস্টার-লে-স্ট্রিট, ইংল্যান্ড, ২৩ জুলাই, ২০২৫ — ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচে দুর্দান্ত শতরান করে ভারতীয় নারী ক্রিকেট দলকে সিরিজ জয় এনে দিলেন অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর। ম্যাচ শেষে নিজের ব্যাটিং মানসিকতা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “ক্রিজে থাকো, রান আপনাতেই আসবে”—এই সহজ অথচ গভীর দর্শনই ছিল তার সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।
ভারত প্রথমে ব্যাট করে ৩১৮/৫ রান তোলে, যার ভিত্তি ছিল হরমনপ্রীতের ৮৪ বলে ১০২ রানের ইনিংস। এটি তার সপ্তম ওডিআই শতরান এবং ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয়। তিনি ১৪টি চার মারেন এবং জেমিমা রড্রিগসের সঙ্গে ১১০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন, যা দলের স্কোরকে ৩০০-র ওপরে নিয়ে যায়।
BCCI Women-এর প্রকাশিত এক ভিডিওতে হরমনপ্রীত বলেন, “ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আমার প্রথম শতরান এসেছিল, তাই ওদের বিরুদ্ধে ব্যাট করতে নামলে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। আগে মনে হতো আমি খুব তাড়াহুড়ো করছি, কিন্তু আজ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম বেশি সময় ক্রিজে কাটাবো”।
তিনি আরও বলেন, “আমরা প্রতি ওভারে কত রান হচ্ছে, কোন বোলারকে টার্গেট করবো—সব হিসেব করে খেলেছি। হরলিন দেওলের সঙ্গে পার্টনারশিপটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কারণ তখন দ্রুত রান দরকার ছিল”।
জেমিমা রড্রিগসের সঙ্গে পার্টনারশিপ প্রসঙ্গে হরমনপ্রীত বলেন, “আমরা দুজনেই জানতাম, ক্রিজে থাকাটাই গুরুত্বপূর্ণ। ও খুব ভালোভাবে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে”।
ম্যাচে ২১ বছর বয়সী ক্রান্তি গৌড় ৬ উইকেট নিয়ে নজর কাড়েন, যা তাকে ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে কমবয়সী পেসার হিসেবে ৬ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড এনে দেয়। হরমনপ্রীত তার প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ সম্মান ভাগ করে নেন ক্রান্তির সঙ্গে, ভবিষ্যতের সম্ভাবনাকে সম্মান জানিয়ে।
এই জয় ভারতের জন্য শুধু সিরিজ জয় নয়, বরং আসন্ন ২০২৫ নারী ওডিআই বিশ্বকাপের আগে আত্মবিশ্বাসের বড় উৎস। হরমনপ্রীতের মতে, “আমরা এখন ৩০০+ স্কোরকে মানদণ্ড হিসেবে ধরছি, যাতে বোলারদের জন্য পর্যাপ্ত ‘কুশন’ থাকে”।
এই ম্যাচে হরমনপ্রীতের ব্যাটিং শুধু স্কোরবোর্ডে নয়, দলের মানসিকতাতেও নতুন উদ্দীপনা এনে দিয়েছে। “ক্রিজে থাকো, রান আপনাতেই আসবে”—এই বার্তা হয়তো আগামী প্রজন্মের ব্যাটারদের জন্যও অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
