দু’দিনের সফরে আজ ভারতে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাজধানী দিল্লিতে তাঁর আগমন ঘিরে চলছে নজিরবিহীন প্রস্তুতি। তৈরি করা হয়েছে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বলয়। আকাশপথ, স্থলপথ ও গোয়েন্দা পর্যবেক্ষণে কাজ শুরু করেছে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী। পুতিনের ব্যবহারের জন্য আগেই এসে পৌঁছেছে তাঁর বুলেটপ্রুফ গাড়ি — ওরাস সেনাট।
তবে কূটনৈতিক ব্যস্ততার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহলে সবচেয়ে বেশি আলোচনা পুতিনের নিরাপত্তা নীতিকে ঘিরে। বিদেশ সফরে তিনি কোনও দেশের হোটেল বা সরকারি শৌচাগার ব্যবহার করেন না। সঙ্গে থাকে একটি বিশেষ স্যুটকেস — যেখানে প্রয়োজনে তাঁর শারীরিক বর্জ্য সংগ্রহ করে নিরাপদে রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। রুশ নিরাপত্তা সংস্থার দাবি, বর্জ্যের নমুনা হাতছাড়া হলে রাষ্ট্রপ্রধানের স্বাস্থ্য সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শত্রুপক্ষের হাতে চলে যেতে পারে। সেই ঝুঁকি এড়াতেই এই বিশেষ ব্যবস্থা।
খাদ্যের ক্ষেত্রেও থাকছে অতিরিক্ত সতর্কতা। পুতিন বাইরের কোনও খাবার খাবেন না। তাঁর বিমানে আগেই উড়ে এসেছে এক সপ্তাহের খাদ্য সরবরাহ, ব্যক্তিগত রাঁধুনি এবং খাদ্য পরীক্ষার জন্য একটি পার্সোনাল ফুড ল্যাব। সফরকালীন প্রতিটি খাবার পরীক্ষা করে নেওয়া হবে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে।
আজ সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও পুতিনের নৈশভোজের পর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতে পারে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, জ্বালানি, বাণিজ্যে রুপির ব্যবহার এবং বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি। দুই দেশের যৌথ বিবৃতি জারি হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
ভারত সফরের রাজনৈতিক গুরুত্ব যতটা, তার থেকেও বেশি নজর এখন রুশ রাষ্ট্রপ্রধানকে ঘিরে গোপনীয়তা ও কঠোর নিরাপত্তার অনন্য নীতিতে — যা বিশ্ব রাজনীতিতে বিরল দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে।
