ভারতের ক্রীড়া পরিকাঠামোর অন্যতম স্তম্ভ SAI (Sports Authority of India) বেঙ্গালুরু কেন্দ্র-এর বিবর্তন ও আধুনিকীকরণের প্রশংসা করলেন দেশের দুই শীর্ষ অলিম্পিয়ান—সুমিত আন্তিল ও পি ভি সিন্ধু। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রটির নতুন ক্রীড়া বিজ্ঞান ও পুনর্বাসন সুবিধা উদ্বোধনের সময় তাঁরা নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন এবং প্রশিক্ষণ পরিকাঠামোর উন্নয়নকে “বিশ্বমানের” বলে অভিহিত করেন।
টোকিও প্যারালিম্পিক স্বর্ণপদকজয়ী সুমিত আন্তিল বলেন, “যখনই আমি ভালো করেছি, এখানেই প্রশিক্ষণ নিয়েছি। এই কেন্দ্র আমাকে শুধু শারীরিকভাবে নয়, মানসিকভাবেও প্রস্তুত করেছে।” তিনি আরও জানান, উন্নত প্রযুক্তি ও বৈজ্ঞানিক সহায়তা তাঁর পারফরম্যান্সে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
দ্বিবার্ষিক অলিম্পিক পদকজয়ী পি ভি সিন্ধু বলেন, “SAI বেঙ্গালুরু শুধু একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নয়, এটি আমার দ্বিতীয় বাড়ি। এখানে প্রতিটি বিভাগ—ফিজিওথেরাপি, নিউট্রিশন, সাইকোলজি—সমন্বিতভাবে কাজ করে, যা একজন ক্রীড়াবিদের পূর্ণাঙ্গ বিকাশে সহায়ক।”
- হাই-টেক স্পোর্টস সায়েন্স ল্যাব
- রিহ্যাবিলিটেশন ও রিকভারি সেন্টার
- ডায়েট ও নিউট্রিশন ইউনিট
- পারফরম্যান্স অ্যানালিটিক্স সিস্টেম
SAI-এর মহাপরিচালক সঞ্জয় মিশ্র জানান, “আমরা ক্রীড়াবিদদের জন্য একটি ৩৬০-ডিগ্রি সাপোর্ট সিস্টেম গড়ে তুলছি। লক্ষ্য একটাই—২০২৮ অলিম্পিকে ভারতের পদক সংখ্যা দ্বিগুণ করা।”
সিন্ধু ও আন্তিল উভয়েই তাঁদের কোচ ও সাপোর্ট স্টাফদের অবদানের কথা উল্লেখ করেন। সিন্ধু বলেন, “একজন কোচ শুধু কৌশল শেখান না, মানসিক দৃঢ়তাও গড়ে তোলেন। এই কেন্দ্রের প্রতিটি সদস্য আমার যাত্রার অংশীদার।”
SAI বেঙ্গালুরুর এই বিবর্তন ভারতের ক্রীড়া জগতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিক পদকজয়ীদের সরাসরি প্রশংসা প্রমাণ করে যে, সঠিক পরিকাঠামো ও সহায়তা থাকলে ভারতীয় ক্রীড়াবিদরা আন্তর্জাতিক মঞ্চে আরও উজ্জ্বলভাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন।
