শিলচরের ঘুঙ্গুর এলাকায় অবস্থিত আরই হাসপাতালে (RE Hospital) ঘটে যাওয়া এক ভয়াবহ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এক রোগীর অভিযোগ, তার অনুমতি ছাড়াই সম্পূর্ণ গোপনাঙ্গ কেটে ফেলা হয়েছে। এই ঘটনাকে ঘিরে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে এবং দায়বদ্ধতার দাবি উঠেছে সমাজের বিভিন্ন মহল থেকে।
আক্রান্ত আতিকুর রহমান, মণিপুরের জিরিবাম জেলার বাসিন্দা, তার গোপনাঙ্গের চিকিৎসার জন্য আরই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ঘুঙ্গুর থানায় দায়ের করা তার অভিযোগে রহমান জানিয়েছেন, শিলচর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (SMCH) ল্যাপারোস্কোপিক সার্জন ডাঃ ইডেন সিনহা আরই হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে তার দেখাশোনা করছিলেন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ডাঃ সিনহা রোগের বিস্তারিত জানতে চিকিৎসার অংশ হিসেবে বায়োপসির পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু রহমান দাবি করেছেন, কোনো বড় ধরনের অস্ত্রোপচারের অনুমতি না নিয়েই তাকে চিকিৎসার জন্য অপারেটিং রুমে (Operating Room) নিয়ে যাওয়া হয়।
রহমানের অভিযোগ, “পরে যখন আমি জানতে পারি যে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আমার পুরো যৌনাঙ্গ কেটে ফেলা হয়েছে, তখন আমি আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। ড্রেসিংয়ের কারণে তাৎক্ষণিকভাবে আমি বুঝতে পারিনি কী ঘটেছে। তবে, যখন এটি খোলা হলো, তখন আমি বুঝতে পারলাম আমার সাথে কী ঘটেছে।” এই মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন।
আর কোনো উপায় না দেখে, রহমান পুলিশের দ্বারস্থ হন এবং ডাঃ ইডেন সিনহার বিরুদ্ধে অবহিত সম্মতি (Informed Consent) ছাড়াই জীবন পরিবর্তনকারী অস্ত্রোপচারের অভিযোগ আনেন। ঘুঙ্গুর থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে।
এই মর্মান্তিক অভিযোগের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। তারা এই ঘটনার একটি পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। চিকিৎসা পেশাদাররাও এই মামলার নৈতিক লঙ্ঘন এবং সম্ভাব্য অপরাধমূলক দায়বদ্ধতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এই ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে জনতা।
