নগাঁও, ২৩ জুলাই, ২০২৫ — অসমের নগাঁও জেলার দিফোলু এলাকায় ১৭ বছর বয়সী কার্বি কিশোরী নম্রতা ইংতিপির রহস্যজনক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তীব্র প্রতিবাদে ফেটে পড়েছে কার্বি সম্প্রদায়। অল কার্বি স্টুডেন্টস ইউনিয়নের নেতৃত্বে একাধিক কার্বি সংগঠন বুধবার নগাঁও কার্বি হোস্টেল থেকে ক্লক টাওয়ার পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল করে, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানায়।
নম্রতা ইংতিপি, কর্বি আংলং জেলার ধেনাঘাট গ্রামের বাসিন্দা, গত ২১ জুন থেকে নিখোঁজ ছিলেন। ১৭ জুলাই তার মৃতদেহ দিফোলুতে উদ্ধার হয়, যা তার ব্যক্তিগত জিনিসপত্র থেকে অনেক দূরে ছিল। এই তথ্যকে কেন্দ্র করে সংগঠনগুলো সম্ভাব্য গণধর্ষণের আশঙ্কা প্রকাশ করে এবং দাবি করে যে শুধুমাত্র অভিযুক্ত সাদ্দাম হুসেইন নয়, আরও কেউ এই অপরাধে জড়িত থাকতে পারে।
নগাঁও পুলিশ ইতিমধ্যে সাদ্দাম হুসেইনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং জানিয়েছে যে তারা একটি গাড়িতে থাকা অবস্থায় তর্কের জেরে নম্রতাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযুক্ত স্বীকার করেছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।
কার্বি ছাত্র ও যুব পরিষদ (KSYC) এবং নগাঁও কার্বি স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (NKSA) নগাঁও সদর থানায় গিয়ে দ্রুত ও স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানিয়েছে। তারা অভিযোগ করে যে দীর্ঘদিন ধরে আদিবাসী নারীদের নিরাপত্তা উপেক্ষিত হচ্ছে এবং এই ঘটনার মাধ্যমে সেই বাস্তবতা আবারও সামনে এসেছে।
সংগঠনগুলো প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং রাজ্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছে যাতে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হয় এবং নম্রতার পরিবারকে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হয়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কার্বি সম্প্রদায়ে শোক ও ক্ষোভের আবহ বিরাজ করছে।
