প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর অরুণাচল প্রদেশ ও ত্রিপুরা সফরে যাচ্ছেন। এই সফরের মূল উদ্দেশ্য উত্তর-পূর্ব ভারতের সীমান্ত উন্নয়ন, অবকাঠামো সম্প্রসারণ এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ।
অরুণাচল প্রদেশে তিনি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এর মধ্যে রয়েছে ১,৮৩০ কিমি দীর্ঘ ফ্রন্টিয়ার হাইওয়ে, যা ম্যাকমোহন লাইনের সমান্তরালে নির্মিত হবে। এই হাইওয়ে বোমডিলা থেকে বিজয়নগর পর্যন্ত বিস্তৃত হবে এবং সীমান্ত নিরাপত্তা ও যোগাযোগ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে।
তিনি শি ইয়োমি জেলায় ইয়ারজেপ নদীর উপর ১৮৬ মেগাওয়াট টাটো-I এবং ২৪০ মেগাওয়াট হেও জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এছাড়া ইটানগরে ইন্দিরা গান্ধী পার্ক থেকে ভাইব্র্যান্ট ভিলেজ প্রোগ্রামের দ্বিতীয় পর্যায়ের সূচনা করবেন, যার আওতায় ১২২টি সীমান্ত গ্রামে রাস্তা, ৪জি নেটওয়ার্ক ও বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হবে। এই প্রকল্পের জন্য ₹২,২০৫ কোটি বরাদ্দ হয়েছে এবং মোট ₹৬,৮৩৯ কোটি ব্যয়ে ২০২৮–২৯ অর্থবছর পর্যন্ত এটি বাস্তবায়িত হবে।
প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি তাওয়াং-এ একটি নতুন কনভেনশন সেন্টারের উদ্বোধনও করবেন।
ত্রিপুরায় প্রধানমন্ত্রী গোমতী জেলার উদয়পুরে অবস্থিত মা ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দিরের পুনর্নির্মিত রূপের উদ্বোধন করবেন। এই মন্দিরটি ৫১টি শক্তিপীঠের একটি এবং এটি কেন্দ্রের পর্যটন মন্ত্রকের PRASHAD প্রকল্পের আওতায় ₹৫২ কোটি ব্যয়ে সংস্কার করা হয়েছে। রাজ্য সরকার অতিরিক্ত ₹৭ কোটি প্রদান করেছে।
তিনি মন্দিরে পূজা করবেন, তবে কোনো জনসভা করার পরিকল্পনা নেই। উদ্বোধনের পর তিনি আগরতলা ফিরে যাবেন এবং সেদিনই দিল্লির উদ্দেশে রওনা হবেন।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা এই সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং বলেছেন, এটি রাজ্যের পর্যটন ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই সফর উত্তর-পূর্ব ভারতের উন্নয়ন, সীমান্ত নিরাপত্তা এবং সাংস্কৃতিক সংহতির প্রতি কেন্দ্রের অঙ্গীকারকে পুনরায় তুলে ধরছে।
