জৈব-শক্তি উৎপাদন ও ব্যবহারে গতি আনতে এবং সংশ্লিষ্ট শিল্পখাতে ব্যবসা-বাণিজ্য সহজতর করতে কেন্দ্র সরকার নতুন জৈববস্তু নির্দেশিকা জারি করেছে। এই নির্দেশিকা জৈববস্তু সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ, পরিবহন ও বিপণনের ক্ষেত্রে একটি সুসংহত কাঠামো প্রদান করবে বলে জানিয়েছে নবীকরণযোগ্য শক্তি মন্ত্রক।
নতুন নির্দেশিকায় জোর দেওয়া হয়েছে:
- জৈববস্তু সরবরাহ শৃঙ্খলা উন্নয়নে: কৃষি ও বনজ বর্জ্য থেকে জৈববস্তু সংগ্রহের জন্য স্থানীয় পর্যায়ে হাব গঠনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
- ব্যবসায়িক সহজতা: লাইসেন্সিং, অনুমোদন ও পরিবহন সংক্রান্ত প্রক্রিয়া ডিজিটাল মাধ্যমে সরলীকরণ করা হবে।
- বিনিয়োগ আকর্ষণ: বায়োমাস ও বায়োগ্যাস প্রকল্পে বেসরকারি বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে কর ছাড় ও ভর্তুকি প্রদানের কথা বলা হয়েছে।
- পরিবেশগত মানদণ্ড: জৈববস্তু ব্যবহারে নির্গমন নিয়ন্ত্রণ ও টেকসই ব্যবস্থাপনার জন্য নির্দিষ্ট গাইডলাইন নির্ধারণ করা হয়েছে।
নবীকরণযোগ্য শক্তি মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী বলেন, “জৈব-শক্তি ভারতের শক্তি নিরাপত্তা ও জলবায়ু প্রতিশ্রুতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই নির্দেশিকা শিল্প ও কৃষি উভয় ক্ষেত্রেই নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।”
বর্তমানে ভারতে জৈব-শক্তি উৎপাদনের ক্ষমতা প্রায় ১১.2 গিগাওয়াট, যা নবীকরণযোগ্য শক্তির একটি উল্লেখযোগ্য অংশ। নতুন নির্দেশিকা বাস্তবায়নের ফলে ২০৩০ সালের মধ্যে এই ক্ষমতা ২০ গিগাওয়াটে উন্নীত করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপ গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে এবং কৃষকদের জন্য বিকল্প আয়ের উৎস তৈরি করবে। পাশাপাশি, এটি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ভারতের অগ্রগতিকে আরও মজবুত করবে।
নির্দেশিকাটি ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার, শিল্প সংস্থা ও কৃষক সংগঠনের কাছে পাঠানো হয়েছে মতামতের জন্য। আগামী তিন মাসের মধ্যে এটি কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
