ভারতীয়দের অত্যন্ত পছন্দের উপকরণ হল দই। যে কোনও রান্নায় তো স্বাস্থ্যকর এই উপকরণ ব্যবহৃত হয়ই, সেই সঙ্গে দইয়ের ঘোল, দইয়ের শরবতও গরমের দিনে ভীষণই উপাদেয়। যে কোন অনুষ্ঠানে শেষ পাতে হক বা খাবারের উপর শেষ পাতে দই, গরমের সময় শরীর ঠান্ডা রাখতে অসীম, বাঙ্গালীদের একটি অমূল্য খাবার হল দই। কিন্তু দই পাতার জন্য সঠিক বাসন ব্যবহার করা হচ্ছে তো? তা কি জানেন? তাহলে এই কাজের জন্য কেমন ধরনের বাসন ব্যবহার করা উচিত? তা বেশিরভাগ মানুষই জানে না, এই না জানার কারণে অসময়ে ডেকে আনতে পারে বিপদ। মনে রাখা আবশ্যক যে, দই পাতার জন্য পিতল এবং তামার বাসনকোসন ব্যবহার করা একেবারেই উচিত নয়।
কারণ এই ধাতু স্বাস্থ্যোপযোগী দইকেও বিষাক্ত খাদ্যে পরিণত করতে পারে। কিন্তু কেন? আসলে তামা এবং পিতলের সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া করে অ্যাসিড-ধর্মী উপাদান দই। যেহেতু দইয়ের মধ্যে ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকে। ফলে যখন এই সমস্ত ধাতুর পাত্রে দই পাতা হয়, তখন রাসায়নিক বিক্রিয়ার জেরে কপার সালফেট অথবা অন্যান্য বিষাক্ত যৌগ তৈরি হয়।
এই ধরনের বাসনে দই পাতলে সেই পাত্রের সঙ্গে দইয়ের বিক্রিয়া হয়ে বিষাক্ত রাসায়নিক যৌগ দই সঙ্গে মিশ্রিত হবে এবং সেই দই আমরা গ্রহণ করলে সেই বিষাক্ত যৌগ আমাদের শরীরের প্রবেশ করলে আমাদের ভয়াবক রোগের সম্মুখীন হতে হবে। যার জেরে পেট ব্যথা, বমি, গা-গোলানো, মাথা ব্যথা পর্যন্ত হতে পারে। দই পাতার জন্য সব সময় কাঁচ ও মাটির পরিচ্ছন্ন পরিষ্কার পাত্রের মধ্যে দই পাতা উচিত তার জন্য বিশেষ উপকারও হয়।
