বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে, মেঘালয় সরকার ৮ মে, ২০২৫ থেকে দুই মাসের জন্য পূর্ব খাসি পাহাড় জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করেছে।
কারফিউর শর্তাবলী
ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা (BNSS) এর ১৬৩ ধারার অধীনে জারি করা এই কারফিউ আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর শূন্যরেখা থেকে ১ কিলোমিটার বিস্তৃত অঞ্চলে প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
পূর্ব খাসি পাহাড়ের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আরএম কুরবাহ, আইএএস কর্তৃক জারি করা আদেশ অনুসারে, অবৈধ সীমান্ত অতিক্রম রোধ এবং এলাকায় চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা
এই আদেশের আওতায়:
- পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির জমায়েত নিষিদ্ধ
- অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের উদ্দেশ্যে চলাচল নিষিদ্ধ
- লাঠি, রড এবং পাথরের মতো অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে এমন জিনিসপত্র বহন নিষিদ্ধ
এছাড়া, সীমান্ত এলাকায় গবাদি পশু, চোরাচালানকারী দ্রব্য, সুপারি, পান, শুটকি মাছ, বিড়ি, সিগারেট এবং চা পাতার মতো অবৈধ কার্যকলাপ রোধ করাই এই আদেশের অন্যতম লক্ষ্য।
আঞ্চলিক নিরাপত্তা উদ্বেগ ও কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া
আঞ্চলিক ঘটনাবলী থেকে উদ্ভূত নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে তাৎক্ষণিকভাবে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
এদিকে, ২২শে এপ্রিল পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী শিবিরগুলিকে লক্ষ্য করে “অপারেশন সিন্দুর”-এর অধীনে ভারতের প্রতিশোধমূলক হামলার পর, বাংলাদেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শান্তি ও সংযম বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে সরকার পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য উভয় দেশকে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
