প্রবল বর্ষণের ফলে সৃষ্ট ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত লামডিং-বদরপুর রেলপথকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পুনরুদ্ধার করেছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে (NFR)। এই গুরুত্বপূর্ণ রেলপথটি আসামের বরাক উপত্যকা ও ত্রিপুরা, মিজোরাম এবং মণিপুরের সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করে, যা সাম্প্রতিক দুর্যোগে সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল।
গত সপ্তাহে আসাম ও পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিতে ১৩২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়, যার ফলে ভূমিধস ও বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। শিলচর, হাফলং ও বদরপুর অঞ্চলে রেললাইন ধসে পড়ে এবং ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
রেল কর্তৃপক্ষ দ্রুত উদ্ধার ও মেরামতের কাজ শুরু করে। শতাধিক শ্রমিক, প্রকৌশলী ও যন্ত্রপাতি নিয়ে দিনরাত কাজ চালিয়ে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে রেলপথ সচল করা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত ট্র্যাক, সিগন্যালিং ব্যবস্থা ও সেতুগুলিকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মেরামত করা হয়েছে।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, “এই রেলপথ শুধুমাত্র যাত্রী পরিবহন নয়, বরং খাদ্য, ওষুধ ও অন্যান্য জরুরি সামগ্রী সরবরাহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই দ্রুত পুনরুদ্ধার ছিল আমাদের অগ্রাধিকার।”
স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা রেল চলাচল পুনরায় শুরু হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং প্রয়োজনে অতিরিক্ত সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে।
এই পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টা উত্তর-পূর্ব ভারতের দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রশাসনিক দক্ষতা ও সমন্বিত প্রচেষ্টার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
