ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করলে এখন অনায়াসেই মোবাইল থেকে হোটেল বুকিং সেরে ফেলা যায়। কিন্তু অনেকসময় এতে দেখা যায়, গন্তব্যে গিয়ে পর্যটকদের হোটেল পছন্দ হয়নি। এই সমস্যা এড়াতে বুকিংয়ের আগে কয়েকটি বিষয় জেনে রাখা জরুরি।
১) ছবিই শেষ কথা নয় : বেশীরভাগ পর্যটকেরা ওয়েবসাইটে হোটেলের ছবি দেখেই বুকিং করে নেন। কিন্তু ছবির সঙ্গে গন্তব্যের হোটেলের ঘরের মিল নাও থাকতে পারে।
এক্ষেত্রে বিভিন্ন অ্যাপ থেকে হোটেলের ছবি দেখে নিতে হবে। সমাজমাধ্যম বা বুকিং ওয়েবসাইটে পর্যটকদের পোস্ট করা ছবি দেখে নিলে সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে।
২) ছোট ছোট তথ্য : ভাড়া কম দেখেই অনেকে হোটেলের রুম বুক করেন। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছে দেখা যায় একাধিক সমস্যা। চেক ইন এবং চেক আউট টাইম, ক্যানসেলেশন পলিসি ভালো করে পড়ে না দেখার ফলে অনেকসময়েই বেশি টাকা খরচ হতে পারে। এছাড়াও ফ্রি ওয়াইফাই বা ব্রেকফাস্ট প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে কি না, এই ধরনের তথ্য আগে থেকেই জেনে নেওয়া উচিত।
বুকিং সংক্রান্ত নির্দেশাবলি ভালো করে পড়া দরকার। প্রয়োজনে কোনও প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে হোটেলে ফোন করে তা জেনে নিতে পারেন।
৩) হোটেলের অবস্থান : ওয়েবসাইট বা অ্যাপে হোটেলের অবস্থান শহরের কেন্দ্রে বা দর্শনীয় স্থানের কাছে লেখা থাকলেও, অনেকসময় সেখানে পৌঁছে দেখা যায় হোটেলটি সুবিধাজনক অবস্থানে নেই। ফলে পর্যটকেরা সমস্যায় পড়তে পারেন।
বুকিংয়ের আগে হোটেলের অবস্থান ভালো করে গুগ্ল ম্যাপে দেখে নিতে হবে। পাশাপাশি, হোটেলের আশপাশে রেস্তোরাঁ, দোকানপাট বা হাসপাতালের মতো প্রয়োজনীয় পরিষেবা রয়েছে কি না, তা-ও দেখে রাখা উচিত।
৪) পর্যটকদের মতামত : হোটেল কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞাপনের জন্য প্রচার করবেনই। কিন্তু সেই বিজ্ঞাপন দেখে অনেকেই সমস্যায় পড়েন। তবে হোটেলের সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে জানতে পর্যটকদের রিভিউ অনেক কার্যকরী।
যে কোনও হোটেল সম্পর্কে পর্যটকেরা কী কী বলেছেন, তা ভালো করে জেনে নিতে হবে। এরফলে কর্তৃপক্ষের দাবিগুলির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হবে।
৫) লোভনীয় অফার : অনেকসময় অপ্রচলিত বা ভুয়ো ওয়েবসাইটগুলি ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে অবিশ্বাস্য দরে ঘর ভাড়া ঘোষণা করে। কিন্তু প্রলোভনে পা দিলেই বিপত্তি। এর ফলে কখনও বুকিং সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে, আবার কখনও স্ক্যামারদের হাতে টাকা খোয়া যেতে পারে।
তাই সবসময় জনপ্রিয় ওয়েবসাইট থেকেই বুকিং করা উচিত। প্রয়োজনে আগেই পেমেন্ট না করে হোটেলে পৌঁছানোর পর টাকা দেওয়া উচিত।
