আয়কর রিটার্ন (ITR) দাখিলের নির্ধারিত সময়সীমা ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে বাড়িয়ে ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ করা হয়েছে। তবে, করদাতাদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সতর্কবার্তা, কারণ এই তারিখের পর ITR ফাইল করলে পুরোনো কর ব্যবস্থার (Old Tax Regime) অধীনে থাকা HRA এবং গৃহঋণের সুদের মতো গুরুত্বপূর্ণ ছাড়গুলো দাবি করা যাবে না।
সময়মতো ITR ফাইল না করলে কী হয়?
- পুরোনো কর ব্যবস্থার সুবিধা হারানো: নির্ধারিত তারিখের পর ITR দাখিল করলে করদাতাদের পুরোনো কর ব্যবস্থার পরিবর্তে বাধ্যতামূলকভাবে নতুন কর ব্যবস্থা (New Tax Regime) বেছে নিতে হবে। নতুন ব্যবস্থায় এই ছাড়গুলো প্রযোজ্য নয়, ফলে আপনার প্রদেয় করের পরিমাণ বেড়ে যাবে।
- জরিমানা ও সুদ: নির্ধারিত তারিখের পর ITR ফাইল করলে মোটা অঙ্কের জরিমানা এবং সুদ দিতে হয়।
- দেরি ফি: ৫ লক্ষ টাকার বেশি আয় হলে ৫,০০০ টাকা এবং ৫ লক্ষ টাকার কম আয় হলে ১,০০০ টাকা জরিমানা।
- সুদ: অপরিশোধিত করের উপর প্রতি মাসে ১% হারে সুদ ধার্য হবে।
- ক্ষতির বহন ক্ষমতা হ্রাস: যদি আপনার কোনো ব্যবসায়িক বা মূলধনী ক্ষতি থাকে, তাহলে দেরিতে ITR দাখিল করলে সেই ক্ষতিগুলো পরবর্তী বছরগুলোতে বহন করার সুযোগ হারাবেন।
- রিফান্ড পেতে দেরি: যদি আপনার আয়কর রিফান্ড প্রাপ্য হয়, তবে তা পেতে অনেক বেশি সময় লাগবে।
নিয়োগকর্তা ও টিডিএস:
যদি কোনো করদাতা তার নিয়োগকর্তাকে ছাড়ের প্রমাণ জমা দেন, তবে নিয়োগকর্তা বেতন থেকে কম TDS (Tax Deducted at Source) কাটেন। কিন্তু সময়মতো ITR ফাইল না করলে, করদাতাকে সেই ছাড়ের পরিমাণ বাবদ অতিরিক্ত কর এবং জরিমানা দিতে হবে। সহজ কথায়, নিয়োগকর্তা আপনাকে যে সুবিধা দিয়েছিলেন, তার সমান পরিমাণ অর্থ এখন আপনাকে জরিমানা সহ পরিশোধ করতে হবে।
এই নিয়মগুলো মাথায় রেখে, প্রতিটি করদাতার উচিত সময়সীমা বাড়ার সুযোগ কাজে লাগিয়ে দ্রুত ITR দাখিল করা, যাতে কোনো আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে না হয়।
