ডলারের সাপেক্ষে ভারতীয় মুদ্রা রুপির দাম রেকর্ড নিম্নস্তরে নেমে গেছে। শুক্রবারের বাজারে রুপির মান এক ডলারের বিপরীতে প্রায় ৮৫.৫০ টাকায় পৌঁছায়, যা এ পর্যন্ত সর্বনিম্ন। আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের শক্তিশালী অবস্থান এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এই পতনের মূল কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে।
রুপির পতনের ফলে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে, বিশেষ করে তেল ও গ্যাসের মতো অপরিহার্য পণ্যে। এর ফলে মুদ্রাস্ফীতি চাপ আরও বাড়তে পারে এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাজারের অস্থিরতায় সতর্ক অবস্থান নিচ্ছেন, তবে রপ্তানি খাতে কিছুটা সুবিধা হতে পারে কারণ ভারতীয় পণ্য বিদেশি ক্রেতাদের কাছে তুলনামূলক সস্তা হয়ে উঠছে।
রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং বাজারে হস্তক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছে যাতে অতিরিক্ত অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তবে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চাপ, মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার বৃদ্ধি এবং ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা রুপির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করেছেন যে রুপির পতন অব্যাহত থাকলে দেশের বাণিজ্য ঘাটতি ও মুদ্রাস্ফীতি আরও বাড়তে পারে। সরকারকে আমদানি নির্ভরতা কমানো এবং রপ্তানি বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিতে হবে।
সারসংক্ষেপ: ডলারের বিপরীতে রুপির দাম রেকর্ড নিম্নে নেমে গেছে, যা আমদানি ব্যয় ও মুদ্রাস্ফীতি বাড়ানোর আশঙ্কা তৈরি করছে, যদিও রপ্তানি খাত কিছুটা সুবিধা পেতে পারে।
