কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী জানিয়েছেন, ভারত ২০৩০ সালের মধ্যে জার্মানিকে ছাড়িয়ে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে। তিনি বলেন, গত এক দশকে ভারতের জিডিপি দ্বিগুণ হয়ে ২.১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ২০২৫ সালে ৪.৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যার ফলে দেশটি ইতিমধ্যেই জাপানকে অতিক্রম করে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে।
পুরী এই মন্তব্য করেন দিল্লির ভারত মণ্ডপমে অনুষ্ঠিত ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব ইন্ডিয়ার (ICAI) ৭৭তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে। তিনি বলেন, “এই অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে সাহসী নীতিগত সংস্কার, সুসংহত আর্থিক ব্যবস্থাপনা এবং বিস্তৃত সামাজিক কল্যাণমূলক কর্মসূচির মাধ্যমে।”
মন্ত্রী জানান, ২০১৪ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে ভারতে ৭৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ (FDI) এসেছে, যা আগের দশকের তুলনায় ১৪৩ শতাংশ বেশি। একই সময়ে, উৎস দেশগুলির সংখ্যা ৮৯ থেকে বেড়ে ১১২-তে পৌঁছেছে।
তিনি আরও বলেন, “প্রতিটি করদাতার রিটার্নের অর্থই রূপান্তরিত হচ্ছে গরিবের ওষুধ, মায়েদের রান্নার গ্যাস, গ্রামে বিদ্যুৎ, প্রবীণদের পেনশন এবং যুবসমাজের কর্মসংস্থানে।”
পুরী সরকারের বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পের সাফল্য তুলে ধরেন, যার মধ্যে রয়েছে:
- ২৭ কোটিরও বেশি মানুষকে বহু-মাত্রিক দারিদ্র্য থেকে মুক্ত করা
- ৪ কোটির কাছাকাছি বাড়ি নির্মাণের অনুমোদন (প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা)
- ১৫.৪ কোটি গ্রামীণ পরিবারে পাইপলাইনের মাধ্যমে পানীয় জল (জল জীবন মিশন)
- ৭০ কোটিরও বেশি মানুষকে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের আওতায় স্বাস্থ্যবিমা সুবিধা প্রদান
মন্ত্রী চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ডেটা অ্যানালিটিক্স গ্রহণের আহ্বান জানান, যাতে তারা কেবল হিসাবরক্ষক নয়, বরং কৌশলগত উপদেষ্টা হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারেন।
এই বক্তব্যের মাধ্যমে হরদীপ পুরী ভারতের অর্থনৈতিক অগ্রগতির রূপরেখা তুলে ধরেন এবং ভবিষ্যতের জন্য একটি আত্মবিশ্বাসী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের দিশা নির্দেশ করেন।
