নয়াদিল্লি, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ — ভারত দ্রুত গ্লোবাল ক্যাপাবিলিটি সেন্টার (GCC) হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে লাইফ সায়েন্সেস খাতে, যা ওষুধ আবিষ্কার, চিকিৎসা গবেষণা এবং নিয়মনীতি রক্ষার ক্ষেত্রে বিশ্বজুড়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। EY ইন্ডিয়ার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের শীর্ষ ৫০টি লাইফ সায়েন্সেস কোম্পানির মধ্যে ২৩টি ইতিমধ্যেই ভারতে তাদের GCC স্থাপন করেছে, যার বেশিরভাগই গত পাঁচ বছরে গড়ে উঠেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই GCC-গুলি এখন শুধুমাত্র ব্যাক-অফিস কাজ নয়, বরং ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল, ফার্মাকোভিজিল্যান্স, রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স, মেডিকেল ও কমার্শিয়াল অপারেশনসের মতো কোর ফাংশনেও সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছে। ওষুধ আবিষ্কার ও উন্নয়নে ৪৫% প্রবেশ, রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্সে ৬০%, মেডিকেল অ্যাফেয়ার্সে ৫৪% এবং কমার্শিয়াল অপারেশনসে ৫০% প্রবেশ ঘটেছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
EY-এর পার্টনার এবং GCC সেক্টর লিড অরিন্দম সেন বলেন, “ভারত এখন আর শুধু খরচ কমানোর কেন্দ্র নয়, বরং গ্লোবাল R&D পাইপলাইনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। আন্তর্জাতিক ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলি তাদের সবচেয়ে কৌশলগত ও জ্ঞাননির্ভর কাজ ভারতে স্থানান্তর করছে”।
এই GCC-গুলি এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহার করে ডিজিটাল থেরাপিউটিক্স, রিয়েল-ওয়ার্ল্ড এভিডেন্স অ্যানালিটিক্স এবং রোগী-কেন্দ্রিক উদ্ভাবনে নেতৃত্ব দিচ্ছে। EY-এর বিশ্লেষণে উঠে এসেছে যে, ফাইন্যান্স, HR, সাপ্লাই চেইন এবং IT-এর মতো এনাবলিং ফাংশনে ভারতের GCC-গুলি যথাক্রমে ৭০%, ৭৫%, ৬২% এবং ৬৭% কাজ পরিচালনা করছে।
ভারতের এই উত্থানকে সমর্থন করছে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের নীতিগত সহায়তা, যা GCC-কে ডিজিটাল রপ্তানি ও কর্মসংস্থানের ইঞ্জিন হিসেবে গড়ে তুলছে। ২.৭ মিলিয়ন লাইফ সায়েন্সেস পেশাদার, ১০০-র বেশি ইউনিকর্ন স্টার্টআপ এবং গ্রেড-A কমার্শিয়াল স্পেসের সহজলভ্যতা এই প্রবৃদ্ধিকে আরও জোরদার করছে।
প্রতিবেদনটি উপসংহারে বলেছে, আগামী দিনে ভারতের GCC-গুলি তাদের গ্লোবাল হেডকোয়ার্টারের “টুইন” হিসেবে কাজ করবে—উদ্ভাবনে অংশীদারিত্ব, ফলাফলভিত্তিক অপারেটিং মডেল এবং AI-প্রস্তুত বহুমুখী প্রতিভার উপর ভিত্তি করে। এই পরিবর্তন ভারতকে গ্লোবাল লাইফ সায়েন্সেস উদ্ভাবনের কেন্দ্রে স্থাপন করছে।
