গরম ভাতে ঘি দিয়ে রসুন ভেজে নিন। সর্দি লাগলে অনেকেই এই খাবার খান। সকালে খালি পেটে কাঁচা রসুনের একটি কোয়া চিবিয়ে খাওয়া বহু দিনের চল। সেই কৌশলটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও ভালো। কিন্তু এ ধরনের খাবার খাওয়ার একটা নির্দিষ্ট সময় আছে। পরিমিত পরিমাণে খান। তবেই এটি উপকারী। পুষ্টিবিদরা বলেন, কাঁচা রসুন খাওয়ার কথা সাধারণত সকালে উঠে আসে। তবে সার্বিকভাবে শরীর সুস্থ রাখতে দুপুরে রসুন খাওয়া উচিত। লাঞ্চের অন্তত আধা ঘণ্টা আগে। উপকারের আশায় প্রচুর পরিমাণে রসুন খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় না। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য রসুনের তিন কোয়া খাওয়াই যথেষ্ট।
প্রতিদিন তিন কোয়া রসুন খেলে কি হয় দুপুরে?
১) রসুন রক্ত পরিষ্কার করতে কাজ করে। বর্ষাকালে ত্বকের বিভিন্ন সংক্রমণ হয়। দিনে তিন কোয়া রসুনই যথেষ্ট।
২) রসুন শরীর থেকে টক্সিন দূর করতেও সাহায্য করে। এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে অর্ধেক লেবুর রস ও তিন কোয়া রসুন মিশিয়ে পান করলে শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থ বের হয়ে যায়।
৩) যাদের সর্দি-কাশির প্রবণতা তাদের জন্য রসুন খুবই উপকারী। কুচানো রসুন পানিতে সিদ্ধ করে ছেঁকে নিন। এর পর চায়ের মতো খেতে হবে।
৪) গরম ভাতের সাথে ভাজা রসুনও খেতে পারেন। সর্দি কমবে, সাইনোসাইটিস থেকেও উপশম হবে। রসুন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে।
৫) প্রতিদিন তিন কোয়া রসুন খেলে রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল বাড়ে না। হার্ট সাধারণত ভালো থাকে।
৬) ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক এবং পরজীবী মোকাবেলায় অ্যান্টিবায়োটিক হিসাবে রসুন খাওয়া অনেক পুরানো। এমনকি, টেপওয়ার্ম থেকে মুক্তি পেতে রসুন খাওয়া যেতে পারে।
৭) সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, প্রতিদিন রসুন খেলে কয়েক ধরনের ক্যান্সারের চিকিৎসা করা যায়। পাকস্থলী ও কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায় রসুন।
