চয়গাঁও, অসম, ১৬ জুলাই ২০২৫ — লোকসভায় বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী বুধবার অসমের চয়গাঁওয়ে এক দলীয় সভায় মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানান, অভিযোগ করেন যে তিনি রাজ্যের সম্পদ কর্পোরেট সংস্থার হাতে তুলে দিচ্ছেন এবং শীঘ্রই জেলে যাবেন। গান্ধীর এই মন্তব্যের পর মুখ্যমন্ত্রী পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়ে রাহুলের বিরুদ্ধে আইনি মামলার কথা তুলে ধরেন।
রাহুল গান্ধী বলেন, “এই মুখ্যমন্ত্রী নিজেকে নির্বাচিত প্রতিনিধি নয়, বরং অসমের রাজা মনে করেন। তিনি ২৪ ঘণ্টা রাজ্যের জমি ও সম্পদ আদানি-অম্বানির হাতে তুলে দিচ্ছেন। টিভিতে তাঁর মুখ দেখুন—ভয় স্পষ্ট। তিনি জানেন, কংগ্রেসের ‘বাব্বর শের’রা তাঁকে জেলে পাঠাবে। তাঁকে কেউ বাঁচাতে পারবে না—না মোদি, না শাহ”।
তিনি আরও দাবি করেন, “এই দুর্নীতির জন্য তাঁকে জবাবদিহি করতে হবে। কিছুদিনের মধ্যেই তিনি জেলে যাবেন। কংগ্রেস তাঁকে নয়, অসমের জনগণ তাঁকে জেলে পাঠাবে”।
রাহুলের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এক্স (পূর্বতন টুইটার)-এ লেখেন, “তিনি শুধু এই কথাগুলো বলতেই অসমে এসেছেন, ভুলে গেছেন যে তিনি নিজেই দেশের বিভিন্ন স্থানে একাধিক ফৌজদারি মামলায় জামিনে রয়েছেন। শুভেচ্ছা রইল, রাহুলজি—অসমের আতিথেয়তা উপভোগ করুন”।
এই সফরে রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের কৌশল নির্ধারণে আলোচনা করেন। তাঁরা আদিবাসী সম্প্রদায় ও বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।
রাহুল গান্ধী তাঁর ভাষণে বিজেপি ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ভোটার তালিকা জালিয়াতির অভিযোগ তোলেন, দাবি করেন যে মহারাষ্ট্রে এক কোটি নতুন ভোটার “হঠাৎ” তালিকায় যুক্ত হয়েছে এবং একই কৌশল বিহার ও অসমে প্রয়োগ করা হচ্ছে।
এই বক্তব্যের মাধ্যমে কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব অসমে নির্বাচনী প্রচারের সূচনা করল, যেখানে আদর্শ, দুর্নীতি, এবং গণতন্ত্র রক্ষার প্রশ্নে তীব্র রাজনৈতিক লড়াইয়ের ইঙ্গিত মিলছে।
