দরকার হলে আমাদের জেলে রেখে দিন।আর কোনদিন নিজের দেশ বাংলাদেশে যাব না। নিজের দেশে আক্রমণ ও অত্যাচারের শিকারে বাধ্য হয়ে জন্মভিটা ছেড়ে অবৈধভাবে সীমান্ত ডিঙিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে প্রবেশ করে পুলিশের হাতে আটক। এক পরিবারের ১০ জন হিন্দু বাংলাদেশী। পুলিশের কাছে প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে এমনই অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশীরা। শনিবার সকালে ত্রিপুরার ধলাই জেলার আমবাসা রেলস্টেশন থেকে তাদেরকে আটক করে জিআরপি থানার পুলিশ।
পরিবারের একজন সদস্য শংকর চন্দ্র সরকার জানান পেশায় তিনি গাড়ি চালক। তাদের বাড়ি বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার ধনপুরে। বাংলাদেশে অত্যাচারের শিকার হয়ে নিজের জায়গা জমি ছেড়ে বাধ্য হয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে শংকর চন্দ্র সরকার সহ তার পরিবারের ৯ জন সদস্য নিয়ে। তিনি অভিযোগ করেন বাংলাদেশ গাড়ি চালাতে পারছে না। রাস্তায় বের হলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। মেয়েছেলে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না এবং পাওনা টাকা খুঁজলে বিভিন্নভাবে হেনস্থার শিকার হচ্ছেন। এসব যন্ত্রণা পেয়ে পরিবার নিয়ে ভারতে চলে এসেছেন এবং আমবাসা রেলস্টেশন থেকে ট্রেনে করে তারা শিলচরের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য। শংকর বাবু আরো জানান পরিবার নিয়ে শিলচরে থাকবেন। পাশাপাশি তিনি আরো অভিযোগ করেন শেখ হাসিনা সরকার থাকার সময় গরিবেরা সেই দেশে ভালো ছিল। বর্তমান সে দেশে গরীবেরা ভালোভাবে চলতে পারছে না।
সংখ্যালঘু হিন্দু গরিবদের উপর প্রতিনিয়ত আক্রমণ অত্যাচার হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এদিকে আমবাসা জিআরপি থানার পুলিশ আধিকারিক পিন্টু দাস জানান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার সকালে জিআরপি পুলিশের কাছে খবর এসেছিল রেল স্টেশনে কিছু বাংলাদেশী একটি অটো গাড়িতে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছে। সে খবরের ভিত্তিতে জিআরপি থানার পুলিশ তাদেরকে অটো থেকে উদ্ধার করে এবং আটক দশ বাংলাদেশি পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারও করেছেন তারা আম্বাসার রেলস্টেশনে শিলচরের ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিল এবং তারা বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছে ত্রিপুরা রাজ্যে। জিআরপি থানার পুলিশ এক পরিবারের দশ বাংলাদেশি আটক করে আদালতে সোপদ করলে আদালত তাদেরকে ১৪দিনের জেল হেফাজতে পাঠান। তাদের মধ্যে তিন জন শিশু রয়েছে তাদের কে জুভেনাল হোমে পাঠিয়েছেন আদালত।