সোমবার বিকেলে ২৭ নম্বর জাতীয় সড়কের জাটিঙ্গা-লামপুর অংশে ভয়াবহ ভূমিধসের কারণে ডিমা হাসাও জেলা প্রশাসন হাফলং এবং শিলচরের মধ্যে সমস্ত প্রকার যানবাহন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। ভূমিধসের ফলে সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং যাত্রীদের সুরক্ষার স্বার্থে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০০৫ এর ৩৪ (সি) ধারা প্রয়োগ করে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ভূমিধসের ফলে সৃষ্ট ঝুঁকি এতটাই বেশি যে বর্তমানে কোনো বিকল্প রুট নিরাপদ বা কার্যকর নয়। আটকে পড়া যাত্রীদের ভ্রমণ স্থগিত রাখতে এবং পরিস্থিতির আপডেটের জন্য জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অনুরোধ করা হয়েছে। ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে।
সোমবার থেকে জাটিঙ্গার কাছে ২৭ নম্বর জাতীয় সড়কে বেশ কয়েকটি যানবাহন আটকা পড়েছে, যার মধ্যে পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকও রয়েছে। ব্রয়লার মুরগি বহনকারী লঙ্কা থেকে শিলচরগামী একটি ট্রাকের চালক জানিয়েছেন, তীব্র গরমে প্রায় নয় কুইন্টাল মুরগি মারা গেছে, যার ফলে তাঁদের enorme ক্ষতি হয়েছে। বিকল্প পথ না পেয়ে সবজি বোঝাই ট্রাকগুলোও তাদের উৎপত্তিস্থলে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছে।
আটকে পড়া চালকরা জেলা প্রশাসনের কাছে খাবার সরবরাহ অথবা বিকল্প পথে চলাচলের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন। তবে, কর্মকর্তারা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে ২৭ নম্বর জাতীয় সড়কের একমাত্র সম্ভাব্য বাইপাস, যা বর্তমানে নির্মাণাধীন, সেটিও ভ্রমণের জন্য অনিরাপদ।
অন্যদিকে, ভারতের জাতীয় মহাসড়ক কর্তৃপক্ষ (NHAI) এবং রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঢাল স্থিতিশীলকরণ ও ভূমিধস প্রতিরোধের জন্য বিশেষজ্ঞ কারিগরি দল মোতায়েন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে, বারবার যোগাযোগ করা সত্ত্বেও NHAI-এর প্রকল্প পরিচালক এই পরিস্থিতি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
