রিয়াধ/সিওল, ১২ সেপ্টেম্বর — ২০২৫ সালের এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এলিট সংস্করণে অংশ নিতে চলেছেন একাধিক প্রাক্তন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ তারকা, যা এশিয়ার ক্লাব ফুটবলে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। সৌদি প্রো লিগ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ ক্লাবগুলির হয়ে খেলবেন ইভান টনি, জেসি লিনগার্ড, রিয়াদ মাহরেজ, ডারউইন নুনেজ, করিম বেঞ্জেমা এবং এন’গোলো কান্তে—যাঁরা ইউরোপীয় ফুটবলে নিজেদের দক্ষতা প্রমাণ করেছেন।
সৌদি ক্লাব আল-আহলি, যাঁরা গত মৌসুমে ৬০,০০০ দর্শকের সামনে জেদ্দায় ফাইনাল জিতে প্রথমবারের মতো এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা অর্জন করে, এবারও শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্যে মাঠে নামছে। ব্রেন্টফোর্ড থেকে আসা ইংল্যান্ড স্ট্রাইকার ইভান টনি ইতিমধ্যে ছয়টি গোল করে মাহরেজের সঙ্গে দুর্দান্ত জুটি গড়েছেন। তাঁর মতে, “সৌদি আরবের ফুটবলের মান অত্যন্ত উচ্চ। মাহরেজের মতো খেলোয়াড়রা সুযোগ তৈরি করতে জানেন।”
আল-হিলাল ক্লাব এবার ৭০ মিলিয়ন ডলারে লিভারপুল থেকে উরুগুয়ের স্ট্রাইকার ডারউইন নুনেজকে দলে নিয়েছে। ক্লাবটি ইতিমধ্যে চারবার এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছে এবং ক্লাব বিশ্বকাপে ম্যানচেস্টার সিটিকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছেছিল।
দক্ষিণ কোরিয়ার এফসি সিওলের হয়ে খেলছেন প্রাক্তন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা জেসি লিনগার্ড। ২০২৩ সালে ক্লাবে যোগ দেওয়ার পর ধীরে ধীরে তিনি অধিনায়কের ভূমিকায় উঠে এসেছেন। ক্লাব কোচ কিম কি-ডং জানিয়েছেন, “লিনগার্ড ইংল্যান্ডের হয়ে খেলেছেন, এবার তাঁর প্রথম এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। তিনি কঠোর পরিশ্রম করছেন এবং দলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।”
এই প্রতিযোগিতায় ২৪টি দল অংশ নিচ্ছে, পশ্চিম ও পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে বিভক্ত হয়ে। প্রতিটি অঞ্চল থেকে শীর্ষ আটটি দল রাউন্ড অফ ১৬-এ পৌঁছাবে। জাপানের ভিসেল কোবে এবং দক্ষিণ কোরিয়ার উলসান হিউন্দাই পূর্ব অঞ্চলের শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে উঠে এসেছে।
বিশ্বমানের তারকাদের উপস্থিতিতে এবারের এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শুধুমাত্র এশিয়ার নয়, আন্তর্জাতিক ফুটবলপ্রেমীদের কাছেও আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।
