December 6, 2025
1

সংগীত ও চলচ্চিত্র জগতের কিংবদন্তি জুবিন গার্গের শেষ চলচ্চিত্র ‘রই রই বিনালে’ মুক্তির মাত্র কয়েকদিন আগে অসমজুড়ে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য দেখা যাচ্ছে—ভক্তরা নিজেরাই হয়ে উঠেছেন চলচ্চিত্রের প্রচারক। এই উদ্যোগ কোনো প্রথাগত বিপণন কৌশল নয়, বরং এটি এক গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।

বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, হাসপাতাল, বাজার, এমনকি গ্রামাঞ্চলের দেওয়ালেও এখন ‘রই রই বিনালে’-র পোস্টারে সজ্জিত। গুৱাহাটী শহরের কটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে জিএমসিএইচ পর্যন্ত, তরুণ-তরুণীরা হাতে পোস্টার নিয়ে নিজ উদ্যোগে সেগুলি সাঁটাচ্ছেন। এই প্রচারাভিযানকে কেন্দ্র করে রাজ্যজুড়ে তৈরি হয়েছে এক আবেগঘন পরিবেশ, যেখানে চলচ্চিত্রটি শুধুমাত্র বিনোদনের মাধ্যম নয়, বরং জুবিন গার্গের প্রতি শেষ শ্রদ্ধার নিদর্শন।

গত মাসে সিঙ্গাপুরে জুবিন গার্গের আকস্মিক মৃত্যু অসমবাসীর হৃদয়ে গভীর শোকের ছাপ ফেলে। সেই আবেগকে কেন্দ্র করে ‘রই রই বিনালে’-কে একটি ঐতিহাসিক চলচ্চিত্রে পরিণত করার জন্য ভক্তরা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে রাস্তাঘাটে সক্রিয় প্রচার চালাচ্ছেন। “জুবিন দা-র নাম ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে চিরস্থায়ী করে তুলি”—এই আহ্বান এখন রাজ্যজুড়ে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে।

চলচ্চিত্রটির মুক্তির তারিখ ৩১ অক্টোবর নির্ধারিত হয়েছে, এবং প্রি-বুকিং শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গুৱাহাটী শহরের অধিকাংশ প্রেক্ষাগৃহে টিকিট নিঃশেষ হয়ে যায়। অনেক ভক্ত স্থায়ী প্রদর্শনের দাবি জানিয়ে প্রেক্ষাগৃহে আবেদনও করেছেন।

এই আন্দোলন প্রমাণ করে যে, জুবিন গার্গ শুধু একজন শিল্পী ছিলেন না—তিনি ছিলেন অসমের সাংস্কৃতিক আত্মার প্রতীক। ‘রই রই বিনালে’-র মাধ্যমে তাঁর শিল্পীসত্তা ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি অসমবাসীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা আজ এক নতুন মাত্রা পেয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *