ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফের একবার করমর্দন বিতর্ক ঘি পড়ল। হংকং সিক্সেস টুর্নামেন্টে পাকিস্তানকে হারানোর পর ভারতীয় ক্রিকেটাররা, সূর্যকুমার যাদব ও হরমনপ্রীত কৌরের পথ অনুসরণ করে, পাক খেলোয়াড়দের সঙ্গে হাত মেলাতে অস্বীকৃতি জানান। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন দীনেশ কার্তিকও।
এই প্রবণতা শুরু হয়েছিল ২০২৫ সালের এশিয়া কাপে, যেখানে ম্যাচ শেষে ভারতীয় পুরুষ দল পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের সঙ্গে করমর্দন করেনি। পরে একই ঘটনা ঘটে মহিলা বিশ্বকাপে। এবার হংকং সিক্সেসে ভারতীয় দল জয়লাভের পরও করমর্দনের রীতি পালন না করায় বিতর্ক আরও তীব্র হয়।
দীনেশ কার্তিকের এই পদক্ষেপ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ একে দেশপ্রেমের প্রতীক হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ ক্রীড়ার সৌহার্দ্য নীতির পরিপন্থী বলে সমালোচনা করছেন। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (PCB) এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (BCCI) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তকে সম্মান করা হয় এবং সীমান্ত পরিস্থিতি বিবেচনায় করমর্দন এড়ানোকে রাজনৈতিক বার্তা হিসেবে দেখা উচিত নয়। তবে ক্রীড়াঙ্গনে সৌহার্দ্য ও সম্মান বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন একাধিক প্রাক্তন ক্রিকেটার।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে হকি ইন্ডিয়া জানিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক ম্যাচে পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের সঙ্গে করমর্দনে বাধা দেবে না, এবং অলিম্পিক চার্টার ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া মূল্যবোধ মেনেই চলবে।
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে রাজনৈতিক আবহে ক্রীড়ার সৌহার্দ্য নীতি বারবার প্রশ্নের মুখে পড়ছে। দীনেশ কার্তিকের পদক্ষেপ সেই বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করল।
