December 23, 2024

মাতৃত্বের অনুভূতি সব মেয়ের জন্যই বিশেষ। কিন্তু সব মেয়েই মা হতে চায় না। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের অনেক তরুণ-তরুণী সন্তান চায় না। তারা দায়িত্ব থেকে মুক্ত হয়ে নিজেদের জীবনযাপন করতে চায়। কখনও কখনও গর্ভপাত স্বেচ্ছায় হয় এবং কখনও কখনও পরিস্থিতি দ্বারা বাধ্য হয়। যদিও গর্ভপাতের সিদ্ধান্তটি নিজের হলেও হৃদয় ভেঙে পড়ে। শরীরও খুব দুর্বল হয়ে পড়ে। ওষুধ বা অপারেশন—যেভাবেই গর্ভপাত হোক না কেন ,অতিরিক্ত রক্তপাত হয়। শরীর মারাত্মকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা দেয়। মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব থাকে।

গর্ভপাতের পর চিকিৎসকরা শুধু এমন ওষুধ দেন, যা শরীরকে সুস্থ্য করে তুলবে। তবে এই অবস্থায় শরীর ও মন দুটোরই যত্ন নেওয়া উচিত। ওষুধের পাশাপাশি কী ধরনের খাবার খেলে দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা যায়, তার টিপস দেওয়া হল। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় আয়রন ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার অবশ্যই রাখতে হবে। এটি সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াবে এবং রক্তে লোহিত রক্তকণিকার পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। খেজুর, বাদাম, পালং শাক, বিট, গাজর, সাইট্রাস ফল, আপেল ইত্যাদি খেতে পারেন।

গর্ভপাতের পর শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা দেয়। ফলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার এ সময় বেশি করে খেতে হবে। এটি আপনাকে বিষণ্নতা থেকে বের করে আনতে এবং লোহিত রক্তকণিকার মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। বাদাম, আখরোট খেতে পারেন। আপনার খাদ্যতালিকায় ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন। ক্যালসিয়াম গর্ভপাতের পর শরীর পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে। এ সময় দুধ, শুকনো ফল, তোফু, শাকসবজি বেশি করে খান। দানাশস্য আপনার হজমের স্বাস্থ্য উন্নত করে। গর্ভপাতের পর হজমের সমস্যা কমাতে ওটস, ব্রাউন রাইস, কিনোয়ার মতো খাবার খান। এছাড়া মুরগির মাংস, মাছ অবশ্যই খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *