সিপাঝার, ১২ সেপ্টেম্বর — অসমের দারং জেলার সিপাঝারের নারিকলি এলাকায় একই পরিবারের তিনজনের রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সরকারি কর্মচারী দীপক নাথ, তাঁর স্ত্রী প্রতিমা নাথ এবং ১৩ বছর বয়সী ছেলে ধৃতিরাজ নাথের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ প্রাথমিকভাবে এটিকে ত্রৈমূর্তি হত্যাকাণ্ড হিসেবে বিবেচনা করছে।
দীপক নাথ, যিনি একজন লাট মণ্ডল হিসেবে কর্মরত ছিলেন, তাঁর মৃতদেহ বাড়ির সীমানা প্রাচীরের কাছে পড়ে থাকতে দেখা যায়। বাড়ির ভিতরে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় প্রতিমা ও ধৃতিরাজের দেহ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাড়ির মূল গেট ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। দীপকের ছোট ভাই প্রাচীর টপকে ভিতরে ঢুকে এই বিভীষিকাময় দৃশ্য দেখতে পান।
প্রতিমা নাথের গলায় গভীর ক্ষত এবং ধৃতিরাজের দেহে ছিন্নভিন্ন চিহ্ন দেখে পুলিশ ঘটনাটিকে অত্যন্ত গুরুতর বলে মনে করছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) রোজি তালুকদার, যিনি তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ফরেনসিক দল এবং ভিলেজ ডিফেন্স পার্টিও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পরিবারটি সমাজে সুপরিচিত এবং শান্তিপ্রিয় ছিল। তাঁদের সঙ্গে কারও কোনও বিরোধ ছিল না বলেই জানা গেছে। এই আকস্মিক ও নৃশংস ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এবং মানুষ দ্রুত বিচার ও নিরাপত্তা বৃদ্ধির দাবি জানাচ্ছেন।
পুলিশ এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে মৃত্যুর কারণ বা সন্দেহভাজনদের নাম প্রকাশ করেনি। তদন্ত চলছে এবং প্রশাসন জানিয়েছে, ঘটনাটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।
