আসামের উদালগুড়ি জেলার প্রত্যন্ত ঘোড়াডাক গ্রামে বন্য হাতির আক্রমণে এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। গত ৬ জুন রাতে একটি হাতির তাণ্ডবে ৪৮ বছর বয়সী দিনমজুর উদ্ধব কুমার বিশ্বকর্মা প্রাণ হারিয়েছেন। একই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তার স্ত্রী পাভিমায়া বিশ্বকর্মা, যিনি বর্তমানে গুয়াহাটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। জানা গেছে, চিকিৎসকরা তার একটি পা কেটে ফেলার কথা বিবেচনা করছেন।
ঘটনাটি ঘটে রাত ১০টার দিকে, যখন ভারত-ভুটান সীমান্তের কাছে অবস্থিত ঘোড়াডাক গ্রামে একটি বন্য হাতি ঢুকে পড়ে এবং উদ্ধব কুমার বিশ্বকর্মার বাড়িতে হামলা চালায়। হাতির আক্রমণে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই গুরুতর জখম হন। গ্রামবাসীরা দ্রুত সাহায্যের জন্য ছুটে এসে ১০৮ অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবায় ফোন করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, হাতির ভয়ে অ্যাম্বুলেন্সটি মাঝপথ থেকে ফিরে যায়। এরপর গ্রামবাসীরা বাধ্য হন ব্যক্তিগত যানবাহনের ব্যবস্থা করে আহত দম্পতিকে তেজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে।
সকল চেষ্টা সত্ত্বেও, গত ৮ জুন রাত ৯টায় উদ্ধব কুমার বিশ্বকর্মা মারা যান। পাভিমায়ার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে পরে গুয়াহাটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হয়।
বর্তমানে গৃহহীন, অসহায় এবং শোকে কাতর বিশ্বকর্মা পরিবারটি গ্রামবাসীদের অনুদানের উপর নির্ভরশীল। গ্রামবাসীরাই তাদের খাবার, চিকিৎসার খরচ এবং উদ্ধবের শেষকৃত্যের জন্য অর্থ সংগ্রহ করছেন। এই হৃদয়বিদারক ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, বিশেষ করে যখন সফররত জনপ্রতিনিধিদের কিছু মন্তব্য “ক্ষতে লবণ” ছিটিয়ে জনরোষকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
