ক্রীড়াক্ষেত্রে ত্রিপুরার পরিচয় আজ জাতীয়স্তরে বিশেষভাবে সমাদৃত। পরিকাঠামোর উন্নতির সাথে সাথে খেলোয়াড়দের উৎকর্ষতা বৃদ্ধির পালক জুড়ছে ত্রিপুরার মুকুটে। জুডো খেলার মাধ্যমে শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি শৃঙ্খলাপরায়ন হওয়া যায়। বৃহস্পতিবার আগরতলার নেতাজী চৌমুহনী সংলগ্ন এনএসআরসিসিতে আয়োজিত ৬৮তম জাতীয় স্কুল গেমসের অনূর্ধ্ব ১৭ মেয়েদের জুডো ইভেন্টের উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক দপ্তর ত্রিপুরা সরকার ও ত্রিপুরা স্কুল স্পোর্টস বোর্ডের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, রাজ্যে এই জাতীয় আসরের আয়োজন করায় আমি দপ্তরের মন্ত্রী ও তার টিমকে ধন্যবাদ জানাই। এখানে উপস্থিত থাকার জন্যও তারা আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এখানে আসতে পেরে আমি খুবই খুশি। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আমি এখানে উপস্থিত সকলকে স্বাগত জানাই। জুডো এমন একটি খেলা যেখানে শারীরিক সক্ষমতা বাড়ে। সেই সঙ্গে ব্যক্তিকে শৃঙ্খলাপরায়ণ করে তুলে। রাজ্যে এই আসরের আয়োজন করতে সুযোগ দেওয়ায় আমি স্কুল গেমস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়াকে ধন্যবাদ জানাই।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা আরো বলেন, প্রতি বছর স্কুল স্তরের জাতীয় আসরে জুডোতে ত্রিপুরা পদক অর্জন করছে। স্কুল স্পোর্টস বোর্ডের পক্ষ থেকে প্রতি বছরই ব্লক স্তর থেকে রাজ্যভিত্তিক খেলার আয়োজন করা হয়। অনূর্ধ্ব ১৪, ১৭ ও ১৯ বছরের ছেলেমেয়েদের মধ্যে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়ে থাকে। আর এখন যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের পক্ষ থেকে এই জুডো ইভেন্টের আয়োজন করা হয়েছে। তাই এবারের জাতীয় আসরেও রাজ্যের খেলোয়াড়েরা একাধিক পদক অর্জন করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের বাধারঘাটের ত্রিপুরা স্পোর্টস স্কুল, পানিসাগর, খুমুলুঙ, এনএসআরসিসিতে জুডো প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি জুডো আসরে অংশ নিতে আসা প্রতিযোগী, তাদের অভিভাবক, কোচ সহ সকলকে ত্রিপুরার পর্যটন কেন্দ্রগুলি ঘুরে দেখার আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী। এজন্য আয়োজকদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রী টিংকু রায়, দপ্তরের সচিব পি কে চক্রবর্তী, অধিকর্তা সত্যব্রত নাথ, পদ্মশ্রী দীপা কর্মকার সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ। কার্যক্রমের উদ্বোধনী পর্বে উপস্থিত থেকে সকল প্রতিযোগীদের উৎসাহিত করার পাশাপাশি জাতীয় স্তরে পুরস্কারপ্রাপ্ত রাজ্যের কৃতি খেলোয়াড় ও প্রাক্তন ক্রীড়াবিদদের সম্বর্ধনা প্রদান করেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। এই জাতীয় আসরে দেশের প্রায় ২৭টি রাজ্য থেকে প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করে। চারদিন ব্যাপী এই জাতীয় গেমসের আসর চলবে আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত।