চিরাং, ১৫ জুলাই ২০২৫ — আসন্ন বোডোল্যান্ড টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল (বিটিসি) নির্বাচনের প্রাক্কালে বিপিএফ (বোডোল্যান্ড পিপলস ফ্রন্ট) প্রধান হাগ্রামা মোহিলারি তার রাজনৈতিক শিবিরে নতুন শক্তি সঞ্চার করেছেন। মঙ্গলবার চিরাং জেলার কাজলগাঁওয়ে দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক যোগদান অনুষ্ঠানে কংগ্রেস, বিজেপি এবং এআইইউডিএফ-এর প্রাক্তন নেতাকর্মীসহ মোট ৩০ জন সদস্য বিপিএফ-এ যোগ দেন।
এই যোগদানকে “বিপিএফ নেতৃত্বের প্রতি জনগণের আস্থা” বলে অভিহিত করে মোহিলারি বলেন, “আজ কংগ্রেস, এআইইউডিএফ এবং বিজেপি থেকে ৩০ জন সম্মানিত নেতা ও কর্মী আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন। এটি প্রমাণ করে যে জনগণ আবারও বিপিএফ-এর প্রতি বিশ্বাস রাখছেন।”
দিনটিতে তিনি উদালগুরি ও বাকসা জেলার মাদ্রাসা শিক্ষক ও আলিম উলামাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং তাদের সমস্যাগুলোর সমাধানের আশ্বাস দেন। “আমরা চিরাং, বাকসা ও উদালগুরিতে আলিম উলামা ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা করেছি। আমাদের সরকার গঠনের পর এসব সমস্যা সমাধান করা হবে,” তিনি বলেন।
হাগ্রামা মোহিলারি আসন্ন নির্বাচনে বিপিএফ-এর জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। তিনি বলেন, “উদালগুরি জেলার ১০টি আসনের মধ্যে আমরা অন্তত ৭টি জিতব। তামুলপুরে তিনটি, মুশালপুরে তিনটি এবং চিরাং ও কোকরাঝার মিলিয়ে ১৬টি আসন জয় করব। অর্থাৎ, এবার আমরা মোট ২৯টি আসন জয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছি।”
প্রতিদ্বন্দ্বী ইউপিপিএল প্রধান প্রমোদ বোরোকে লক্ষ্য করে মোহিলারি বলেন, “প্রমোদ বোরো কিছুই জিততে পারবেন না। ভাগ্য তার পক্ষে নেই। সর্বোচ্চ এক-দুইটি আসন পেতে পারেন। আমি ১৭ বছর ধরে দুর্নীতিমুক্তভাবে জনগণের সেবা করে এসেছি। জনগণ জানেন কাকে বিশ্বাস করা যায়।”
তিনি আরও বলেন, “আমার বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগ ইতিমধ্যেই মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমার বৈঠক হয় না, কারণ তিনি বিজেপির এবং আমি বিপিএফ-এর। এখানে কোনো ‘বড় ভাই’ নেই।”
এই রাজনৈতিক পালাবদল এবং আত্মবিশ্বাসী প্রচারণা বিটিসি নির্বাচনে বিপিএফ-এর অবস্থানকে আরও জোরদার করেছে। এখন দেখার বিষয়, ভোটের ফলাফল কী বার্তা নিয়ে আসে।
