গত ৫ জুন থেকে নিখোঁজ ২৬ বছর বয়সী রোস্মিতা হোজাইয়ের মৃতদেহ মঙ্গলবার উত্তরাখণ্ডের পাউরি গাড়োয়াল জেলার একটি নদীর তীর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। রোস্মিতার মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে তদন্ত শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, ডিমা হাসাও জেলার বাসিন্দা রোস্মিতা হোজাই হরিয়ানা থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা শেষ করে গুয়াহাটিতে APSC পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। গত ৪ জুন তিনি পরিবারকে জানিয়েছিলেন যে পরীক্ষার জন্য দিল্লি যাচ্ছেন।
কিন্তু ৫ জুন সন্ধ্যায় মায়ের সাথে তার শেষ কথোপকথনই পরিবারে উদ্বেগের জন্ম দেয়। রোস্মিতা তার মাকে জানান যে তিনি ট্রেনে করে ফিরছেন, যা তার স্বাভাবিক কথাবার্তার চেয়ে ভিন্ন ছিল। রোস্মিতার মা জানান, তার মেয়ে এর আগে কখনও অস্পষ্ট কথা বলেননি বা মিথ্যা বলেননি। এই অস্বাভাবিকতা তাকে শঙ্কিত করে তোলে যে কেউ হয়তো রোস্মিতাকে জোর করে এমন কথা বলতে বাধ্য করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লির মহিন্দরগড়ের হেমন্ত শর্মা এবং হরিয়ানার রোহতকের পঙ্কজ কোকার নামে দুজনকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, “শিবপুরী থানায় রোস্মিতা হোজাইয়ের নিখোঁজ হওয়ার খবর দেওয়া ওই দুজন দাবি করেছেন যে নদী তাকে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে।” এই তথ্যের সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে এবং আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
