ধুবরির চরাঞ্চলে প্রায় ৩,০০০ বিঘা জমি থেকে উচ্ছেদ অভিযান ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে অসমের রাজনৈতিক আবহ। মঙ্গলবার সিবসাগরের বিধায়ক ও রাইজোর দল নেতা অখিল গগৈ উচ্ছেদপ্রাপ্তদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে বিজেপি তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায়, অভিযোগ করে যে তিনি ‘সন্দেহভাজন’ ব্যক্তিদের পক্ষ নিচ্ছেন এবং স্থানীয় খিলঞ্জিয়া জনগণের স্বার্থ উপেক্ষা করছেন।
অসম বিজেপির সভাপতি দিলীপ শইকীয়া বলেন, “অখিল গগৈ হোক বা কংগ্রেস নেতৃত্ব—তাঁরা সব সীমা অতিক্রম করে এই ব্যক্তিদের তুষ্ট করতে ব্যস্ত। তাঁরা খিলঞ্জিয়া জনগণের স্বার্থের কথা ভাবছেন না।”
এই জমিগুলি অসম পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (APDCL)-এর জন্য নির্ধারিত ছিল এবং পরবর্তীতে আদানি গোষ্ঠীর কাছে হস্তান্তরের পরিকল্পনা রয়েছে। রাজ্যের আইন ও বিচার মন্ত্রী রঞ্জিত কুমার দাস বলেন, “আইন অনুযায়ীই উচ্ছেদ হয়েছে। Advantage Assam 2.0-এর পর শিল্পায়নের জন্য জমির প্রয়োজন।”
অন্যদিকে, অখিল গগৈ ধুবরির চাপোরে উচ্ছেদপ্রাপ্তদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের শান্ত থাকার আহ্বান জানান। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ৫০০ বিঘা জমি পুনর্বাসনের জন্য অনুরোধ জানাবেন। তবে তাঁর সফরের পর উত্তেজনা ছড়ালে পুলিশ তাঁকে আটক করে।
গগৈ বলেন, “এই উচ্ছেদ অবৈধ ও অসাংবিধানিক। গৌহাটি হাইকোর্ট ইতিমধ্যেই তিনটি স্থগিতাদেশ দিয়েছে। তবুও সরকার বেআইনিভাবে এগিয়ে চলেছে। এটি সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ।”
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, এই উচ্ছেদে প্রায় ১,২০০ থেকে ১,৪০০ পরিবার প্রভাবিত হবে। অস্থায়ী পুনর্বাসনের জন্য আঠানি সার্কেলের বাইজার আলগায় ৩০০ বিঘা জমি নির্ধারিত হয়েছে এবং স্বেচ্ছায় ছেড়ে যাওয়া পরিবারগুলিকে ₹৫০,০০০ করে অনুদান দেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অসমে ভূমি, নাগরিকত্ব ও খিলঞ্জিয়া অধিকারের বিতর্ক নতুন করে তীব্র হয়ে উঠেছে।
