আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মহাগঠবন্ধনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী নিয়ে কোনও বিভ্রান্তি নেই বলে স্পষ্ট জানালেন কংগ্রেস নেতা কানহাইয়া কুমার। তিনি বলেন, “তেজস্বী যাদবই আমাদের মুখ্যমন্ত্রী পদের প্রধান মুখ, এবং এই বিষয়ে জোটের মধ্যে কোনও মতবিরোধ নেই।”
এই মন্তব্যের মাধ্যমে মহাজোটের অভ্যন্তরীণ ঐক্য এবং নেতৃত্ব নিয়ে চলমান জল্পনার অবসান ঘটল। কানহাইয়া কুমার আরও বলেন, “আরজেডি মহাজোটের বৃহত্তম শরিক, এবং তেজস্বী যাদব বিহারের যুব সমাজের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা। তাঁর নেতৃত্বেই আমরা এনডিএ-র বিরুদ্ধে শক্তিশালী লড়াই গড়ে তুলব।”
এর আগে কংগ্রেস বিধায়ক সন্তোষ মিশ্রও জানিয়েছিলেন যে দল তেজস্বী যাদবকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে মেনে নিয়েছে এবং আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। কংগ্রেস অন্তত ৭০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায়, তবে জোটের স্বার্থে নমনীয়তা দেখাতে প্রস্তুত বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব নিজেও সম্প্রতি বলেছেন, “মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী অনেক আগেই নির্ধারিত হয়েছে। যথাসময়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হবে।” সূত্রের খবর, কংগ্রেস ও বাম দলগুলিকে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী আরজেডি থেকেই হবে, এবং সেই দায়িত্বে তেজস্বী যাদবকেই রাখা হবে।
সম্প্রতি প্রকাশিত এক জনমত সমীক্ষায় দেখা গেছে, বিহারের ১৮–২৯ বছর বয়সী ভোটারদের মধ্যে প্রায় ৪২% তেজস্বী যাদবকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান, যেখানে ৩৪% ভোটার এখনও নীতীশ কুমারকে সমর্থন করছেন। এই পরিসংখ্যান মহাজোটের তরফে তেজস্বীর নেতৃত্বে প্রচারের কৌশলকে আরও জোরদার করার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
অন্যদিকে, এনডিএ শিবিরে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী নিয়ে কিছুটা ধোঁয়াশা রয়ে গেছে। যদিও বিজেপি জানিয়েছে যে নীতীশ কুমারই তাদের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী, তবে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা রয়েছে যে বিজেপি জেডিইউ-র উপর চাপ সৃষ্টি করে আসন বণ্টনে প্রাধান্য নিতে চাইছে।
মহাজোটের তরফে তেজস্বী যাদবকে মুখ্যমন্ত্রী পদে প্রার্থী হিসেবে এককভাবে সমর্থন করার ঘোষণা নির্বাচনী প্রচারে স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে—বিরোধী জোট ঐক্যবদ্ধ এবং নেতৃত্ব নিয়ে কোনও বিভ্রান্তি নেই। এখন দেখার বিষয়, এই ঐক্য কতটা কার্যকরভাবে ভোটারদের আস্থা অর্জন করতে পারে।
