December 6, 2025
13

অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা রাজ্যের ধর্মীয় জনসংখ্যা সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করেছেন, যেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন যে বর্তমানে অসমে অসমীয়া হিন্দু জনসংখ্যা কমে গিয়ে মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। এই তথ্য রাজ্যের জনবিন্যাস পরিবর্তনের ইঙ্গিতবাহী এবং এর সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব থাকতে পারে।

সম্প্রতি এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী শর্মা এই পরিসংখ্যানের কথা জানান। তিনি বলেন, “বর্তমানে অসমে অসমীয়া হিন্দু জনসংখ্যার হার প্রায় ৪০ শতাংশ। এই হার কয়েক দশক আগেও উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি ছিল।”

মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য মূলত রাজ্যের জনতাত্ত্বিক পরিবর্তন এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ভাষার উপর এর সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করে। তিনি মনে করেন, জনবিন্যাসের এই পরিবর্তন রাজ্যের ভবিষ্যত সামাজিক স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক গতিপথের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করতে পারে।

মুখ্যমন্ত্রীর এই বিবৃতি এমন এক সময়ে এলো, যখন রাজ্যে অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং জনতাত্ত্বিক ভারসাম্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক বিদ্যমান। এই পরিসংখ্যানের মাধ্যমে তিনি সম্ভবত রাজ্যের স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের স্বার্থ রক্ষার প্রয়োজনীয়তা এবং এই পরিবর্তনের মোকাবিলায় কঠোর নীতি গ্রহণের বার্তা দিতে চেয়েছেন।

যদিও মুখ্যমন্ত্রী এই পরিসংখ্যানের উৎস বা সময়কাল বিশদভাবে উল্লেখ করেননি, তবুও এই তথ্য রাজ্যের রাজনীতিতে একটি নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তাঁর এই মন্তব্য ভবিষ্যতে নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন (CAA) এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (NRC)-এর মতো স্পর্শকাতর ইস্যুগুলির বাস্তবায়নে সরকারের অবস্থানকে আরও দৃঢ় করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

এই জনবিন্যাস সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনের মধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে আরও সুনির্দিষ্ট তথ্য এবং সমাধানের পথ তুলে ধরা প্রয়োজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *