সোমবার সকালে আসামের নলবাড়ি জেলার বাক্রিকুচি গ্রামে ৮২ বিঘা দখলকৃত গ্রাম চারণভূমি (ভিজিআর) পুনরুদ্ধারের জন্য একটি বড় ধরনের উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। গৌহাটি হাইকোর্টের নির্দেশে এই অভিযান পরিচালিত হয়, যেখানে আসাম জুড়ে গবাদি পশুর চারণের জন্য নির্ধারিত সমস্ত বেদখলকৃত ভিজিআর জমি পুনরুদ্ধারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
সকাল থেকেই ৫০০ পুলিশ সদস্যের কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে অভিযান শুরু হয়। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অননুমোদিত স্থাপনা ভাঙার সময় কোনো ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। জেলা কমিশনার নিবেদন দাস পাটোয়ারি বলেছেন যে, গত ৩ জুন উচ্ছেদের নোটিশ জারির পর ৩০০টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ৭০ শতাংশেরও বেশি সদস্য স্বেচ্ছায় তাদের বাড়িঘর ছেড়ে চলে গেছে। অভিযান তত্ত্বাবধানকারী আইজিপি অখিলেশ কুমার সিং জানান, “বাসিন্দারা সহযোগিতা করেছেন এবং প্রক্রিয়াটি শান্তিপূর্ণভাবে চলেছে।”
এই ৮২ বিঘা জমিতে থাকা ঘরবাড়ি, একটি স্কুল, মসজিদ এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙতে বারোটি বুলডোজার ব্যবহার করা হয়েছে। বাকি প্রায় ৩৭০ বিঘা জমি, যা মৎস্য ও কৃষিকাজের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছিল, তা পরবর্তী ব্যবস্থার জন্য তদন্তাধীন রয়েছে।
উচ্ছেদকৃত পরিবারগুলো বর্তমানে গ্রামের সংযোগ সড়কের পাশে অস্থায়ী শিবির স্থাপন করেছে এবং তারা পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছে। চলতি মাসে আসামে এটি দ্বিতীয় বড় উচ্ছেদ অভিযান। এর আগে ১৫-১৬ জুন গোয়ালপাড়া জেলার হাসিলাবিলে ৬৬৭টি পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়েছিল।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জোর দিয়ে বলেছেন যে, সরকারি জমি পুনরুদ্ধারে তাঁর সরকারের “শূন্য-সহনশীলতা নীতি” সফল হয়েছে। তিনি বলেন, “উচ্ছেদ অব্যাহত থাকবে। আমাদের সবচেয়ে বড় সাফল্য হল যে মানুষ এখন সরকারি জমি দখল করার আগে দুবার ভাবে।” গত চার বছরে রাজ্য প্রশাসন প্রতিটি জেলায় এই ধরনের দখলদারিত্ব বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে।
