শিশু পুষ্টি ও প্রাথমিক বিকাশে জোর দিতে আসাম সরকার ও আইটিসি লিমিটেড যৌথভাবে রাজ্যের ১১টি জেলায় ইন্টিগ্রেটেড চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট সার্ভিসেস (ICDS) কর্মীদের জন্য একটি ক্যাসকেডিং প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করেছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে আনুমানিক ১৪ লক্ষ নারী ও শিশু উপকৃত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আওতায় ৬৪৯ জন সুপারভাইজার ও ১৮,৫৬৯ জন আঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যারা পরবর্তীতে ঘরে-ভিত্তিক যত্ন, পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস ও খেলার মাধ্যমে শেখার কৌশল সম্পর্কে পরিবারগুলিকে সচেতন করবেন। প্রশিক্ষণটি জাতীয় শিশু বিকাশ কাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পরিচালিত হবে।
এই প্রকল্পটি হাইলাকান্দি, গোলপাড়া, ধুবড়ি, বরপেটা, বাকসা, উদালগুড়ি ও দরং—এই সাতটি ‘আকাঙ্ক্ষিত জেলা’-সহ কামরূপ, কামরূপ মেট্রো, নলবাড়ি ও মোরিগাঁও জেলায় বাস্তবায়িত হবে।
নারী ও শিশু উন্নয়ন বিভাগের প্রধান সচিব মুকেশ চন্দ্র শাহ বলেন, “সরকারি ও বেসরকারি খাতের সমন্বয়ে আমরা শিশু অপুষ্টির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করছি। খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনই অপুষ্টি রোধের মূল চাবিকাঠি।”
এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে সম্প্রতি একটি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয়েছে আসাম সরকারের নারী ও শিশু উন্নয়ন বিভাগ এবং আইটিসি লিমিটেডের মধ্যে। অংশ নিয়েছেন অতিরিক্ত পরিচালক অভিজিৎ সিনহা, আইটিসি-র আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক বিনয় মেনন এবং ইউথ ইনভেস্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. পি. কালিপ্রসাদ।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যে শিশুদের পুষ্টি, প্রাথমিক শিক্ষা ও সার্বিক বিকাশে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
