আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা গত ১৬ জুন ডিব্রুগড়ের শ্রী শ্রী আউনিয়াতি সাখা সত্র অডিটোরিয়ামে “ধরতি আবা জনভাগিদারি অভিযান”-এর জেলা-স্তরের সচেতনতামূলক কর্মসূচিতে অংশ নেন। এই দেশব্যাপী উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো ত্রি-স্তরীয় পরিকল্পনা বাস্তবায়নে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং সরকারি পরিষেবাগুলির সুষম বিতরণ নিশ্চিত করা।
ডিব্রুগড় জেলা প্রশাসন এবং উপজাতি বিষয়ক বিভাগ (সমতল) যৌথভাবে এই গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচির আয়োজন করে। এর প্রধান উদ্দেশ্য হলো সরকারি প্রকল্পগুলির কার্যকর বিতরণ এবং জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে উপজাতি জনগোষ্ঠীর মধ্যে সুবিধাগুলি পৌঁছে দেওয়া।
এই অভিযানের আওতায়, উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষেরা বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পরিষেবা পাচ্ছেন, যার মধ্যে রয়েছে:
আধার কার্ড,রেশন কার্ড,আয়ুষ্মান ভারত কার্ড (PM-JAY),জাতি ও বাসস্থানের শংসাপত্র,কিষাণ ক্রেডিট কার্ড (KCC),প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি (PM-Kisan) সুবিধা,জন ধন অ্যাকাউন্টবীমা কভারেজ (PMJJBY/PMSBY)বার্ধক্য, বিধবা এবং প্রতিবন্ধী পেনশন-এর মতো সামাজিক সুরক্ষা সুবিধা।
এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী শর্মার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন উপজাতি বিষয়ক (সমতল) ও শিক্ষামন্ত্রী রণোজ পেগু, বিদ্যুৎ ও চিকিৎসা শিক্ষামন্ত্রী প্রশান্ত ফুকন, এবং মন্ত্রী যোগেন মোহন সহ স্থানীয় বিধায়করা। তাঁদের উপস্থিতি এই কর্মসূচির গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
১৫ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত দুই সপ্তাহব্যাপী এই অভিযানের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন মুখ্য সচিব মুকেশ চন্দ্র সাহু, আইএএস এবং ডিব্রুগড়ের ডেপুটি কমিশনার বিক্রম কৈরি, আইএএস। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তা, সুবিধাভোগী এবং সাধারণ জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দেখা গেছে, যা আসামের উপজাতি সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়নের প্রতি সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকারেরই প্রতিফলন।
