গুজরাটে চাঁদিপুরা ভাইরাসের ঘটনা বাড়ছে, এখন পর্যন্ত গুজরাটের ৩৭ জন বাসিন্দা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া, ভাইরাল এনসেফালাইটিসে মোট ১২৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এই রোগীরাও চাঁদিপুরা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ভাইরাল এনসেফালাইটিসের ১২৪ টি নতুন মামলা গুজরাটের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়েছে। পঞ্চমহল এলাকায় সর্বোচ্চ ১৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন, এছাড়া আহমেদাবাদের সবরকাঁথা ও পুরিনগম এলাকায় ১২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। কোথাও নয়, কোথাও ছয়, কোথাও পাঁচজন আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কতজন চাঁদিপুরা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তা জানা যাবে। সংশ্লিষ্ট মেডিকেল টেস্টের রিপোর্ট এলে জানা যাবে।
অন্যদিকে, ভাইরাল এনসেফালাইটিসের 54 জন রোগীকে গুজরাটের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 26 জন ভাইরাসে সংক্রমিত রোগী যারা আগে ভর্তি হয়েছিল তাদেরও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত 44 জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও, রাজস্থানে চাঁদিপুরা ভাইরাসে ছয়জন আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন মারা গেছেন। পাঁচজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মধ্যপ্রদেশে দুইজন এবং মহারাষ্ট্রে একজনকে এই রোগের কারণে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।
এই ভাইরাসের বিস্তার রোধে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের দলগুলো পজিটিভ ও সন্দেহভাজন রোগীদের বাড়িঘর এবং আশেপাশের এলাকা পর্যবেক্ষণ করছে। যেসব গ্রামে ভাইরাল এনসেফালাইটিসের পজিটিভ কেস পাওয়া গেছে, সেখানে ম্যালাথিয়ন পাউডার স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে এবং দ্রুত সম্পন্ন করা। এছাড়া ভেক্টরবাহিত রোগ প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতেও বলেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
