December 6, 2025
photo 3

বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষের জন্য অত্যন্ত ক্ষতির কারণ হয়ে উঠেছে শব্দদূষণ। শব্দদূষণের ফলে শ্রবণশক্তি কমে যাওয়ার পাশাপাশি শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। আমাদের কর্ণের মধ্যে তিনটি ভাগ রয়েছে —বহিঃকর্ণ, মধ্যকর্ণ ও অন্তঃকর্ণ। এই অন্তঃকর্ণই আমাদের শব্দ শুনতে সাহায্য করে। তাই অন্তঃকর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হলে আমাদের শ্রবণশক্তি হ্রাস পায়।এক গবেষণায় দেখাছে, নিয়মিত ৪৫ ডেসিবেল শব্দের মধ্যে তিন থেকে চার ঘণ্টা থাকলে শ্রবণশক্তি হ্রাস পায়।

এই বিষয়ে আমরা জানতে পেরেছি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন প্রফেসর এবং এইচপি ঘোষ হাসপাতালের ‘ইএনটি’ বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট চিকিৎসক অশোক কুমার সাহার কাছ থেকে আলোচনা করেছেন।চিকিৎসক অশোক কুমার সাহা বিস্তারিত আলোচনা জানিয়েছেন, শুধু শব্দদূষণের ফলেই যে শ্রবণশক্তি কমে যায়, তা নয়। এমন কিছু ওষুধ আছে যেগুলিও নিয়মিত সেবন করলে শ্রবণক্ষমতার হ্রাসপায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এই ওষুধগুলিকে বলে ‘অটোটক্সিক ড্রাগ’।

চিকিৎসক সাহা আরও জানিয়েছেন, জন্মগত কারণেও অনেকের শ্রবণশক্তির সমস্যা দেখা দেয়।সন্তান গর্ভে থাকাকালীন অবস্থায় যদি মা ‘অটোটক্সিক ড্রাগ’ যুক্ত ওষুধ সেবন করেন, সে ক্ষেত্রেও জন্মগতভাবেই শ্রবণক্ষমতা কমে যায়। তাই গর্ভধারণের সময় এই সব দিক বা খাদ্যর দিকে শব্ববিশেষ নজর রাখতে হয় ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *