তিরুবনন্তপুরম, ২৩ আগস্ট ২০২৫ — ফুটবলপ্রেমী ভারতবাসীর জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে দেশ। ফিফা বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনা দল, লিওনেল মেসির নেতৃত্বে, চলতি বছরের নভেম্বর মাসে ভারতের কেরালায় একটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলতে আসছে। শনিবার আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (AFA) আনুষ্ঠানিকভাবে এই সফরের ঘোষণা দেয়।
এই ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ফিফার আন্তর্জাতিক ম্যাচ উইন্ডোর মধ্যে, ১০ থেকে ১৮ নভেম্বরের মধ্যে। সম্ভাব্য ভেন্যু হিসেবে তিরুবনন্তপুরমের গ্রিনফিল্ড স্টেডিয়ামের নাম উঠে এসেছে, যদিও প্রতিপক্ষ দলের নাম এখনো নির্ধারিত হয়নি।
কেরালা সরকারের তরফে ক্রীড়ামন্ত্রী ভি. আব্দুরাহিমান জানান, “বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনা দলকে কেরালায় আনার জন্য দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছিল। অবশেষে AFA আমাদের অনুরোধে সফরটি ২০২৬ থেকে এগিয়ে এনে ২০২৫ সালে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের লক্ষ্য, কেরালার লক্ষ লক্ষ ফুটবলপ্রেমী যেন সরাসরি মেসিকে খেলতে দেখতে পান”।
এই সফরকে কৃতজ্ঞতা স্বরূপও দেখা হচ্ছে, কারণ ২০২২ সালের বিশ্বকাপ জয়ের সময় ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সমর্থনের জন্য AFA বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছিল। সেই আবেগের প্রতিফলন হিসেবেই কেরালায় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
মেসির ভারত সফর ঘিরে উন্মাদনা তুঙ্গে। যদিও এখনো নিশ্চিত নয় তিনি দলে থাকবেন কিনা, তবে আশা করা হচ্ছে বিশ্বজয়ী অধিনায়ক নিজেই মাঠে নামবেন। এছাড়া ডিসেম্বর মাসে মেসির একটি পৃথক চার শহরের সফরও পরিকল্পিত রয়েছে—কলকাতা, আহমেদাবাদ, মুম্বাই ও নয়াদিল্লিতে তিনি ভ্রমণ করবেন বলে জানা গেছে।
এই ম্যাচটি ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আর্জেন্টিনার আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ সূচির অন্তর্ভুক্ত। যুক্তরাষ্ট্র ও অ্যাঙ্গোলার পাশাপাশি ভারত সফর আর্জেন্টিনার কৌশলগত প্রস্তুতির গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে উঠবে।
ভারতের ফুটবল ইতিহাসে এটি হবে দ্বিতীয়বার, যখন আর্জেন্টিনা দল দেশের মাটিতে খেলবে। এর আগে ২০১১ সালে কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে একটি প্রীতি ম্যাচে অংশ নিয়েছিলেন মেসি।
এই সফর শুধু কেরালার নয়, গোটা দেশের ফুটবল সংস্কৃতির জন্য এক গর্বের মুহূর্ত। পর্যটন বিভাগ আশা করছে, মেসির আগমন আন্তর্জাতিক পর্যটন ও ক্রীড়া উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।
