ধুবরি, ১০ জুলাই: চাপোর এলাকায় সাম্প্রতিক উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার ধুবরির চিরাকুটা অঞ্চলে তীব্র প্রতিবাদে নামে অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (AIUDF)। জাতীয় সড়ক ১৭ অবরোধ করে দলীয় কর্মী ও উচ্ছেদপীড়িতরা সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান তোলে, অভিযানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পুনর্বাসনের দাবি জানায়।
প্রতিবাদ চলাকালীন আটজন বিধায়ককে চাপোর থানায় আটক করে পুলিশ। আটক হওয়া বিধায়কদের মধ্যে ছিলেন হাফিজ বশির আহমেদ কাসিমি, ড. হাফিজ রফিকুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, আশরাফুল হুসেইন, করিমউদ্দিন বারভুইয়া, সামসুল হুদা, নিজানুর রহমান এবং নজরুল ইসলাম। কয়েক ঘণ্টা পর তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়।
AIUDF বিধায়ক আশরাফুল হুসেইন বলেন, “উচ্ছেদপীড়িত পরিবারগুলোর জন্য কোনো আশ্রয়, পানীয় জল, খাদ্য বা শৌচাগারের ব্যবস্থা করা হয়নি। এটি শুধু উচ্ছেদ নয়, এটি পরিকল্পিত হয়রানি।” তিনি হুঁশিয়ারি দেন, “এটি কেবল শুরু। যদি ন্যায়বিচার না হয়, আন্দোলন আরও তীব্র হবে।”
বিধায়ক আমিনুল ইসলাম অভিযানে মানবিকতা ও আইনের লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে বলেন, “সরকার কোনো পুনর্বাসন ছাড়াই মানুষকে উচ্ছেদ করেছে। আমরা ক্ষতিপূরণ ও জমি বরাদ্দের দাবি জানাচ্ছি।”
প্রসঙ্গত, চাপোর চিরাকুটা, সন্তোষপুর ও চারুয়াবাখরা গ্রামে প্রায় ৩,৫০০ বিঘা জমি থেকে প্রায় ১,১০০ পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। এই জমি আদানি গোষ্ঠীর একটি ৩,৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।
এই ঘটনার পর রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। AIUDF-এর প্রতিবাদ এবং বিধায়কদের আটক হওয়া রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। উচ্ছেদ ইস্যুটি আসামের সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিসরে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় নিচ্ছে।
