December 6, 2025
1

বিগত বছর থেকে আরো বেশি উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে এই বছরের ‘মায়ের গমন’ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে বৃহত্তর আগরতলার ক্লাবগুলির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। দুর্গাপূজার পর আগামী ৪ অক্টোবর আগরতলায় মায়ের গমন ও কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হবে। আজ মুক্তধারা অডিটোরিয়ামে মায়ের গমন ও শারদ সম্মান প্রস্তুতি সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা সভাপতিত্ব করেন। সভায় আলোচনা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মায়ের গমন আয়োজন করতে গিয়ে কোথায় কোথায় ত্রুটি রয়েছে তা গত বছরের অনুষ্ঠান থেকে শিক্ষা নিতে হবে। সমস্যাগুলির সমাধান করতে হবে। প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় শব্দ দূষণের বিষয়ে আরও বেশি সচেতন হতে বিভিন্ন ক্লাবের প্রতিনিধিদের প্রতি মুখ্যমন্ত্রী আহ্বান জানান। প্রসঙ্গক্রমে মুখ্যমন্ত্রী পূর্ত দপ্তরের আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন দুর্গাপূজার আগেই যেন সারা রাজ্যে রাস্তাগুলি সংস্কার করা হয়। তিনি আশা প্রকাশ করেন আরও বেশি ক্লাব এবছর মায়ের গমন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবে।

এদিনের বৈঠকে বিভিন্ন ক্লাব কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের বক্তব্যের রেশ ধরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিগত দিনে এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে যে খামতিগুলো রয়েছে, তা দূরীকরণে আরক্ষা প্রশাসন, বিদ্যুৎ দপ্তর, পূর্ত দপ্তর সহ সকল লাইন ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তাদের সক্রিয় ভূমিকা ও পুজো উদ্যোক্তাদের সার্বিক সহযোগিতা অত্যন্ত প্রয়োজন। বিশেষ করে শহরের রাস্তায় যেখানে ক্রসিং রয়েছে সেই দিক দিয়ে শোভাযাত্রা যাতে সঠিক নিয়মে এবং শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে যেতে পারে এদিকে পুলিশি ব্যবস্থাকে আরও সুদৃঢ় করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারী পূজো উদ্যোক্তাদের প্রতি আবেদন রাখেন, আইজিএম চৌমুহনী দিয়ে শোভাযাত্রা যাবার সময় যাতে সবাই সাউন্ড সিস্টেম বন্ধ রেখে শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সামাজিক দায়িত্বও পালন করেন। পাশাপাশি তিনি বলেন পুজোর চাঁদা নিয়ে কোন প্রকার কঠোরতা সরকার মান্যতা দেয় না। মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা বলেন, আগরতলা পুরনিগম এলাকায় তথ্য অনুযায়ী ৬৮০ টি পুজো অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

বাস্তবিকভাবে এই পুজোর সংখ্যা আরো বেশি, তাই এ বছর যাতে বারোয়ারি পূজো থেকে শুরু করে সার্বজনীন পুজো উদ্যোক্তা সবাই সরকারিভাবে রেজিস্ট্রেশন করেন তার আবেদন রাখেন।  তিনি বলেন গত বছর মায়ের গমন অনুষ্ঠানে ৪৬ টি পুজো উদ্যোক্তা শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে, এ বছর যাতে এই সংখ্যা বৃদ্ধি পায় তার জন্য সঠিক প্রচারণার ব্যবস্থা করতে তিনি গুরুত্বারোপ করেন।  তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুরনিগমের মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার, সাস্থ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী, অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য সহ বিভিন্ন লাইন ডিপার্টমেন্ট এর উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুরনিগমের মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার, সাস্থ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী, অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য সহ বিভিন্ন লাইন ডিপার্টমেন্ট এর উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *