মঙ্গলবার আসামের নিউ বোঙ্গাইগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে এক অভিযানে আট বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে সরকারি রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি)। তারা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে কাজের সন্ধানে চেন্নাই যাচ্ছিলেন।
আটককৃতরা হলেন বাবু শেখ, আশরাফুল হক, আলামিন আলী, মামুন শেখ, মোহাম্মদ আলী, রাহুল আমিন, মোশাররফ আলী এবং আশারুল হক। এদের সবার বয়স ১৯ থেকে ২২ বছরের মধ্যে এবং তারা বাংলাদেশের জামালপুর জেলার বাসিন্দা। সিনিয়র পুলিশ সুপার মোহনলাল মীনা নিশ্চিত করেছেন যে, দলটি মেঘালয়ের অরক্ষিত সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিল এবং অবৈধ অনুপ্রবেশের জন্য ৯,০০০ টাকা করে এজেন্টদের দিয়েছিল।
আটককৃতদের একজন স্বীকার করেছেন, “আমরা কাজের জন্য চেন্নাই যাচ্ছিলাম।” জিআরপি কর্মকর্তারা তাদের কাছ থেকে আধার কার্ড এবং ভোটার আইডি সহ বেশ কিছু জাল ভারতীয় নথি উদ্ধার করেছেন।
পুলিশের ধারণা, আটককৃতদের মধ্যে একজন দলের নেতা, যিনি হিন্দি, তামিল এবং অসমিয়া ভাষায় পারদর্শী। এসএসপি মীনা জানিয়েছেন, সে মিথ্যা অজুহাতে একাধিক ভারতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছিল এবং স্বীকার করেছে যে জাল নথি সংগ্রহ করা “কঠিন ছিল না।”
কর্তৃপক্ষ মনে করছে, এই ঘটনাটি বৃহত্তর অবৈধ অভিবাসন বা মানব পাচারকারী নেটওয়ার্কের অংশ হতে পারে। এই দলটি দিল্লি ও গুরুগ্রাম থেকে ফেরা বৈধ অভিবাসীদের সাথে মিশে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে জিআরপি তাদের ট্রেনে ওঠার আগেই আটক করে।
আটককৃতরা বর্তমানে জিআরপি হেফাজতে রয়েছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এবং সীমান্ত সুরক্ষা সংস্থার সাথে সমন্বয় করে তাদের পরিচয় ও অভিবাসন অবস্থা যাচাই করা হচ্ছে। পুলিশ সীমান্ত পাচারকারী সিন্ডিকেট এবং স্থানীয় সহায়তাকারীদের বিষয়ে আরও তদন্ত চালাচ্ছে।
