আসামে সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। সম্প্রতি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে, শিক্ষা, পশুপালন ও পশুচিকিৎসা, এবং পর্যটন সহ বিভিন্ন বিভাগে মোট ৪৮১ জন নতুন নিয়োগপ্রাপ্তকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগপত্র বিতরণ করা হয়েছে। এই নিয়োগগুলি রাজ্য সরকারের ‘এক লক্ষেরও বেশি সরকারি নিয়োগ’ প্রদানের প্রতিশ্রুতির অংশ।
বিতরণ করা নিয়োগপত্রগুলির মধ্যে রয়েছে:
শিক্ষা বিভাগের অধীনে সহকারী অধ্যাপক পদে ৪৪৩ জন।
পশুপালন ও পশুচিকিৎসা বিভাগে ৪৪৩ জন পশুচিকিৎসা ক্ষেত্র সহকারী।
পর্যটন বিভাগে ১২ জন পর্যটন উন্নয়ন কর্মকর্তা।
২৩ জন জেলা শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (DIET) প্রভাষক।
এবং তিনজন রাজ্য শিক্ষা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কাউন্সিল (SCERT) সহকারী পরিচালক।
নিয়োগপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী শর্মা বলেন, “রাজ্য সরকার এক লক্ষেরও বেশি সরকারি নিয়োগ প্রদানের প্রতিশ্রুতি পূরণের পর স্বচ্ছ ও যোগ্যতাভিত্তিক নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রতি তার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুত।” তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, “রাজ্য সরকার ১০ অক্টোবরের মধ্যে মোট ১.৬০ লক্ষ নিয়োগের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা কেবল যোগ্যতাকেই সমুন্নত রাখেনি, বরং রাজ্যজুড়ে আরও শক্তিশালী শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।”
মুখ্যমন্ত্রীর মতে, পশুপালন শিল্পের পূর্ণ সম্ভাবনা অর্জনে আসাম এখনও অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে, যা গ্রামীণ অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তিনি জানান যে, আমুল গুয়াহাটির কাছে রাণীতে ১ লক্ষ লিটারের একটি নতুন দুধ প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রও তৈরি করবে। এই উদ্যোগগুলি রাজ্যজুড়ে কৃষকদের উৎপাদন বৃদ্ধিতে উৎসাহিত করবে।
আসামের দৈনিক ডিমের চাহিদার প্রায় ৯০% আমদানি নির্ভর। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী গবাদি পশু বৃদ্ধির পাশাপাশি হাঁস-মুরগি ও হাঁস উৎপাদনের উপর রাজ্যের নতুন করে জোর দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, মাত্র ১,০০০ উদ্যোক্তা এগিয়ে আসলে রাজ্য তিন বছরে প্রতিদিন এক কোটি ডিম উৎপাদন করতে সক্ষম হবে।
