ধুবরিতে ব্যাপক উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে, যেখানে কয়েক দশক ধরে টিকে থাকা আবাসিক ভবনগুলো বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে। এই অভিযানের আগে, অনেক বাসিন্দা স্বেচ্ছায় তাদের ঘরবাড়ি সরিয়ে নিয়েছিলেন।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২,০০০ এরও বেশি পরিবার সরকারি খাস জমিতে অবৈধভাবে বসবাস করছিল। আসাম সরকার আসাম পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (এপিডিসিএল) এর অধীনে আদানি গ্রুপকে একটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য এই জমি হস্তান্তরের প্রস্তাব দিয়েছে, যার অংশ হিসেবে এই উচ্ছেদ চালানো হচ্ছে।
সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, উচ্ছেদ হওয়া প্রতিটি পরিবারকে এককালীন ৫০,০০০ টাকা নগদ সহায়তা দেওয়া হবে। এছাড়াও, আথানি রাজস্ব সার্কেল অফিসারের তত্ত্বাবধানে ভূমিহীন পরিবারগুলিকে বয়জের-আলগায় পুনর্বাসনের জন্য মূল্যায়ন করা হচ্ছে।
উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা বিক্ষোভ ও রাস্তা অবরোধ করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। পুলিশ সুপার লীনা ডোলি ঘটনাস্থলে পৌঁছে সরাসরি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন এবং বিরোধিতার মুখেও শৃঙ্খলা বজায় রাখেন।
এদিকে, উচ্ছেদস্থল পরিদর্শনে আসার সময় স্বাধীন বিধায়ক অখিল গগৈকে আটক করে চাপার থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশের দাবি, অখিল গগৈয়ের উপস্থিতির পর থেকেই পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে, যদিও বেশিরভাগ পরিবার স্বেচ্ছায় এলাকা ছাড়তে রাজি ছিল।
