অসমের করিমগঞ্জ জেলার নাম পরিবর্তন করে হবে ‘শ্রীভূমি জেলা। সিলমোহর পড়েছে রাজ্য ক্যাবিনেটে। এছাড়া আজকের ক্যাবিনেট বৈঠকে আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তেও সিলমোহর পড়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জনতা ভবনে মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মার পৌরোহিত্যে সম্পন্ন হয়েছে অসম সরকারের মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক। বৈঠকের পর এক সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলির নির্যাস দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, করিমগঞ্জ জেলার নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম ‘শ্রীভূমি’ জেলা করতে ক্যাবিনেটে সিলমোহর পড়েছে। কেন করিমগঞ্জের নাম বদল করা হয়েছে, এর পেছনে যুক্তিও ব্যাখ্যা করেছেন ড. শর্মা।
ঐতিহাসিক সংযোগের বিষয়ে বিশদভাবে বর্ণনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ১০০ বছর আগে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৯ সালে সিলেট সফরকালে এই অঞ্চলকে ‘সুন্দরী শ্রীভূমি বলে মা লক্ষ্মীর ভূমি হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। এই অঞ্চলের ঐতিহ্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ‘শ্রীভূমি শব্দটি অসমিয়া এবং বাংলা, উভয় অভিধানেই তাৎপর্য বহন করে। তিনি আরও বলেন, সিলেট যেহেতু একসময় অসমের অংশ ছিল, এখন বাংলাদেশে, তাই করিমগঞ্জের নাম পরিবর্তন করে ‘শ্রীভূমি করা হলে ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট রক্ষা পাবে।
তিনি ‘কালাপাহাড় -এর সাম্প্রতিক নামকরণের ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘কালাপাহাড় শব্দটি অসমিয়া বা বাংলা অভিধানে পাওয়া যায় না, ‘করিমগঞ্জ ও নয়। তাই এ সব নাম অর্থহীন। আরও বলেন, স্থানের নামগুলি সাধারণত ভাষাগত অর্থে নিহিত। বরপেটার ভাসানিচকের মতো বেশ কয়েকটি গ্রাম সহ এ ধরনের অনেক নাম ইতোমধ্যেই সংশোধন করা হয়েছে।ঐতিহাসিক এবং ভাষাগত প্রাসঙ্গিকতার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ধীরে ধীরে সেই সব জায়গার নাম পরিবর্তন করব যেখানে ঐতিহাসিক বা আভিধানিক অর্থ নেই। প্রসঙ্গক্রমে মুখ্যমন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শৰ্মার ঘোষণা, অসমের আরও বহু গ্রাম, অঞ্চলের নামও পৰ্যায়ক্ৰমে পরিবর্তন করা হবে।